কক্সবাংলা ডটকম(২৭ ফেব্রুয়ারী) :: সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ তুর্কি সেনা নিহত হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর পর তুর্কি সেনা হতাহতের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দেশটির হাতাই প্রদেশের গভর্নর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০১১ সাল থেকে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইদলিব হলো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি। সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও দেশটির মিত্র রাশিয়া ২০১৮ সালের অস্ত্রবিরতি সীমানার অগ্রসর না হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইদলিবমুখী অভিযান শুরু করেছে। ১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই অভিযানে ১০ লাখ বেসামরিক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই শিশু।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরীয় হামলার পর দেশটির সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এ খবর খুবই উদ্বেগজনক। আমরা ন্যাটোর মিত্র তুরস্কের পাশে আছি। সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত বাহিনীর নিন্দনীয় অভিযান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের আহ্বান জানাই আমরা।’
এর আগে তুরস্কের হাতাই প্রদেশের গর্ভনর জানিয়েছিলেন, অন্তত ২২ সেনা নিহত হয়েছেন। হামলার পর আঙ্কারায় মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেশটির যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন বলেন, ‘সিরীয় সরকারের সব লক্ষ্যবস্তুগুলো পরিচিত। আর এগুলো তুরস্কের বিমান ও স্থলবাহিনীর আয়ত্তে রয়েছে। আসাদ বাহিনীর মতো অনুরূপ হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইদলিবের পরিস্থিতি নিয়ে দুই ঘণ্টার জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইদলিবে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েনের পর থেকে একদিনেই তুরস্কের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটলো। গত মাসেও ইদলিবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলায় তুরস্কের অন্তত ১৩ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে।
Posted ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta