হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :: সেন্টমার্টিন দ্বীপে জেলের রশিদ আহমদ ওরফে বাগ্গুইল্লা রশিদের টানা জালে আটকা পড়েছে ২০৪ পিস লাল কোরাল (নাক কোরাল)। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এ মাছের নাম রাঙ্গাচই।
প্রতিটি মাছের ওজন সাড়ে চার থেকে পাঁচ কেজি (প্রায় ৯০০ কেজি সাড়ে ২২মণ)। মাছগুলোর দাম হাঁকাচ্ছেন ৭ লাখ টাকা। টানা জালে মালিক সেন্টমার্টিন ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে রশিদ আহমদ।
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটির উত্তর পাশে ডেইলপাড়ার সমুদ্রসৈকতে টানা জালে এ মাছ গুলো ধরা পড়েছে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টানা জালে মালিক রশিদ আহমদ বলেন, আজ বুধবার দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিন জেটির উত্তর পাশে ডেইলপাড়া সমুদ্রের জালটি ফেলা হয়।
দুপুরের পর থেকে কয়েকজন শ্রমিক জালটি টেনে নিয়ে আসে। বিকেলের দিকে সমুদ্র সৈকতের পারে টেনে নিয়ে আসা জালে প্রচুর বড় বড় মাছ দেখতে পায়। একটানে লাখপতি। মাছগুলো ৭লাখ টাকা দাম হাঁকানো হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিব খান বলেন, স্থানীয় কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী মাছগুলো কেনার জন্য সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছেন। মাছগুলো সৈকতের বালুতে বিলিয়ে রেখে দামাদামি করা হচ্ছে। এসব মাছ দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমাচ্ছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুস্বাদু কোরাল কিংবা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী। বঙ্গোপসাগরের গভীর জলের মাছ কোরাল সবসময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এজন্য এই মাছের দাম কিছুটা বেশি। মাছটি সাধারণত ১ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে।
মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Lates calcarifer। এই মাছ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল বিশেষত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। তা ছাড়া এশিয়ার উত্তরাঞ্চল, কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল এবং পূর্ব আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলেও এদের দেখা যায়।
উল্লেখ্য যে, গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাতটায় বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রীপাড়া বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুবের (৪৩) এর ট্রলার এফবি রিয়াজ থেকে ফেলা জালে ১৯৮টি লাল কোরাল ধরা পড়েছিল।
Posted ১০:৩৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta