হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৮৩ নটিক্যাল মাইল অদূরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৮ মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করেছে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- কাশেম কেরানী (৯০). বাবুল (৩২), আল আমিন (২০), মো হোসেন (২৭), তোফাজ্জল (৫০), মো খলিল (৩৬), শাকিল (৪৫), মো আজিজ (৬৭), নজরুল (৫৯).শামীম সিকদার (২৬), আবুল কাশেম (8৫). কবির উদ্দিন (৪২), জগন্নাথ (8৫), মো ইউসুফ (৩৬), রমজান (৫০), মো হাফিজ (৩৫), শাহ আলম (8০) ও বাবলু (৩৪)। উদ্ধার হওয়া মাঝি-মাল্লারা পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
শুক্রবার সকালে বঙ্গোসাগর থেকে তাদের উদ্ধার করা হলেও (আজ) শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন আন্তবাহিনীর গণসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআরের) পরিচালকের পক্ষে সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ রেজা-উল করিম শামী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহল জাহাজ নির্মূল ও অতন্দ্র গভীর সমুদ্রে টহলরত অবস্থায় সেন্টমার্টিনের অদূরে ৮৩ নটিক্যাল দূরে ভাসমান অবস্থায় ফিশিং ট্রলারটিকে জেলেসহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলেদের বরাত দিয়ে ওই কর্মকর্তা জানান , গত ৯ ডিসেম্বর “এফ বি আল হাসান” নামে ফিশিং ট্রলারটি ১৮জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করেন। এরমধ্যে ১৭ ডিসেম্বর পায়রা ক্দর বয় এর কাছে ফিশিং ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় ২২ দিন ধরে তারা সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় থাকেন। এসময় জেলেরা শুকনো ঢাল ও শুটকি খেয়ে বেঁচে ছিলেন। পরে নৌবাহিনী জাহাজ নির্মূল ও অতন্দ্র গভীর সমুদ্রে টহলরত অবস্থায় ফিশিং ট্রলারটিকে উদ্ধার করে ।
তীব্র পানি ও খাদ্য সংকটে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল অবস্থায় নৌবাহিনী তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও বস্ত্র প্রদান করে। পরবর্তীতে তাদের ট্রলারটির ক্রুটিযুক্ত ইঞ্জিন মেরামত করে ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের নিরাপদে পটুয়াখালীতে পাঠানোর লক্ষ্যে নৌবাহিনীর সেন্টমার্টিন ঘাঁটিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Posted ২:২১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ জানুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta