কক্সবাংলা ডটকম(৫ আগস্ট) :: বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এমনিতেই মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটে নিত্যপণ্যের দামে সংসার চালাতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ঠিক সে সময়ে এলো বড় দুঃসংবাদ। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ৯ মাসের মাথায় ফের ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এবার অকটেন ও পেট্রোলের দামও বেড়েছে। এক লাফে ৪৭ শতাংশের বেশি দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে আরও চাপে পড়বে আগে থেকেই দ্রব্যমূল্যের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা সাধারণ মানুষের জীবন। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সরকার আইএমএফের কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে ভর্তুকি কমাতে তেলের দাম বাড়িয়েছে।
এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম এর আগে কখনোই এত বেশি বাড়ানো হয়নি বলে সংশ্নিষ্টরা জানান।
বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করলেও দেশে এক লাফে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ টাকা। এবার বেড়েছে অকটেন, পেট্রোলের দামও। অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ থেকে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল লিটারে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৬ থেকে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত নভেম্বরের মতো এবারও সময় না দিয়েই কার্যকর করা হয়েছে বর্ধিত দাম। শুক্রবার রাত ১২টায় নতুন দামে তেল বিক্রি শুরু হয়। এর দুই ঘণ্টা আগে দাম বৃদ্ধির গেজেট জারি করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে পেট্রোল পাম্পে তেলের জন্য ভিড় করেন হাজার হাজার ক্রেতা। এতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। তবে পাম্পগুলো ১২টা পর্যন্ত তেল বিক্রি বন্ধ রাখে।
সার্বিকভাবে তেলের দাম ৪৭ শতাংশেরও বেশি বাড়িয়েছে সরকার। এর আগে গত ৪ নভেম্বর ডিজেলের লিটার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। এতে দ্রব্যমূল্য আরও বেড়ে যায়। এবারের দাম বৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হবে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, তাই দ্রব্যমূল্যও বাড়বে। সেচের খরচও বাড়বে। এতে খাদ্যপণ্য মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। সার্বিকভাবে অর্থনীতি আরও চাপে পড়বে।
দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৬৫ লাখ টন। এর ৭৩ শতাংশই ডিজেলে পূরণ হয়। কৃষি, পরিবহনে ব্যবহৃত ‘গরিবের তেল’ খ্যাত ডিজেলের দাম এবার বেড়েছে সাড়ে ৪২ শতাংশ। কেরোসিনের দরও একই হারে বাড়িয়েছে সরকার। অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৫১ শতাংশের বেশি।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে চাপে পড়বে পরিবহন ও কৃষি খাত। বাড়বে পণ্য পরিবহনের খরচ, গণপরিবহনের ভাড়া। সেচের ব্যয় বৃদ্ধিতে কৃষকের খরচও বাড়বে। সব মিলিয়ে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া লাগামহীন হবে বলে শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির যুক্তি দেখিয়ে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কারণ চাহিদার প্রায় অর্ধেক অকটেন ও শতভাগ পেট্রোল দেশেই উৎপাদিত হয়।
দাম বৃদ্ধির সাফাই গেয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার আমজনতার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল, ততদিন দাম বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। বর্তমান অবস্থায় অনেকটা নিরুপায় হয়েই দাম সমন্বয় করতে হয়েছে। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ছয় মাসে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান করেছে। ২০১৬ সালে দাম কমানো হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম পুনর্বিবেচনা করা হবে। গতকাল তিনি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সমকালকে বলেছেন, সারাবিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এই অনির্বাচিত সরকার বাড়িয়েছে। এতে জীবনযাত্রার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাড়বে।
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সমকালকে বলেছেন, তাঁরা এই অন্যায্য দাম বৃদ্ধিকে সমর্থন করবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি লিটারে জ্বালানি তেলে ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স নেয় সরকার। তা কমালে দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় তেল বিক্রি করে আগের ৮ বছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে সরকারি সংস্থা বিপিসি। আন্তর্জাতিক বাজারে ইতোমধ্যে অপরিশোধিত তেলের (ক্রুড অয়েল) দাম কমে ৯৪ ডলার হয়েছে।
দাম বৃদ্ধি জনগণের জন্য অভিশাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক লাফে এত দাম বৃদ্ধি অন্যায্য। খাদ্যসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। করোনায় সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মানুষ দিশেহারা। কমিশনকে পাশ কাটিয়ে এভাবে দাম বৃদ্ধি ফৌজদারি অপরাধ।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, বিশ্ববাজারে দাম পড়তির দিকে। এ সময়ে দেশে দাম বাড়ানো উচিত হয়নি। গত কয়েক বছরে বিপিসি প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। যার বড় অংশ সরকার নিয়ে গেছে। এই অর্থ দিয়ে একটা তহবিল গঠন করলে ক্রাইসিস মুহূর্তে কাজে লাগানো যেত। এতে জনগণের ওপর দাম বৃদ্ধির বোঝা চাপাতে হতো না। আইএমএফের ঋণ পেতে শর্ত মেনে দাম বাড়িয়েছে সরকার।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, সরকার তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। আগেরবারের মতোই হুট করে দাম বাড়িয়েছে। শনিবার মালিকরা বসে আলোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী বলেছেন, পরিবহন খরচ নিশ্চিতভাবেই অনেক বাড়বে। খরচ পরিবহন মালিকরা তো দেবেন না। যে পণ্য পরিবহন করবে, সে দেবে। সে বাড়তি খরচ তুলবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে। শেষ পর্যন্ত জনগণের পকেট থেকেই যাবে বাড়তি খরচ।
গত নভেম্বরে ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাসের ভাড়া এক টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে কিলোমিটারে দুই টাকা ১৫ পয়সা করা হয়। দূরপাল্লার বাস ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সা বেড়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা হয়।
ঢাকা-নোয়াখালী রুটের বাস হিমাচল পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন বলেছেন, একটি বাস ঢাকা থেকে যাওয়া-আসায় ১১০ লিটার ডিজেল লাগে। শুক্রবার পর্যন্ত যার দাম ছিল ৮ হাজার ৮০০ টাকা। এখন লাগবে ১২ হাজার ৫৪০ টাকা। প্রতি ট্রিপে পৌনে ৪ হাজার টাকা খরচ বেড়ে গেছে!
কৃষি উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এতে কৃষক মারাক্তকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। সরকার কম দামে যন্ত্র দিচ্ছে; কিন্তু তেলে যদি বেশি খরচ হয়, তাহলে কৃষি উৎপাদন কমে যাবে। কেরোসিন ও ডিজেলের ওপর ভর্তুকি দিতে হবে।
ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাবে
জ্বালানি তেলের দাম যে পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে তাতে ভোক্তা পর্যায়ে অসহনীয় ব্যয়বৃদ্ধি ঘটবে বলে মনে করছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তার মতে, মূল্যস্ফীতিজনিত যে চাপ এখন জনগণের ওপর রয়েছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে। ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাবে। ফলে, ন্যুনতম জীবনমান ধরে রাখার বিষয়টি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।
সরকার এর আগে গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছিল। তখন দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল লিটারপ্রতি ৮০ টাকা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাসভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ, যা তেলের দাম বাড়ানোর হারের চেয়ে অনেক বেশি। একইভাবে তখন লঞ্চভাড়া বাড়ানো হয় ৩৫ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের দাম একলাফে যে পরিমাণ বাড়ানো হলো তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবের বিষয়ে আজ শনিবার খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন দাতা দেশ শর্ত দিয়েছে সামনে বড় ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে, তার একটা প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে হয়তো এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে মনে করি, জ্বালানির ক্ষেত্রে ভোক্তার ওপরে বা ব্যবহারকারীর ওপরে এই চাপটি না দিয়ে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনাটি অন্যভাবে করা যেত।’তার মতে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে পরিবহন, কৃষি, শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতের ওপর।
তিনি বলেন, ‘ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খাতে হয়তো ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। দ্বিতীয়ত, যেহেতু কৃষিতে সেচের কাজে ডিজেলের ব্যবহার হয় উল্লেখযোগ্য হারে, সুতরাং আগামী বোরো মৌসুমে সেচের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ধানের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং তার কারণে হয়তো চালের ক্ষেত্রেও মূল্যের একটা প্রতিক্রিয়া থাকবে ‘
সম্প্রতি সারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সামনে এনে গোলাম মোয়াজ্জেম এ বিষয়ে বলেন, ‘ইউরিয়ার মূল্য বৃদ্ধিজনিত প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় সার্বিকভাবেই কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে।’
শিল্পখাতে এর প্রভাবের বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘শিল্পখাতে যেখানে ডিজেল ব্যবহার হয়, বিশেষ করে ক্যাপটিভ পাওয়ারভিত্তিক যে শিল্প কারখানাগুলো, সেখানে শিল্পপণ্যের ওপরেও এর প্রতিক্রিয়া থাকবে। ডিজেলচালিত যেসব জেনারেটর ব্যবহার হয় লোডশেডিংয়ের সময়, দোকানপাটেও এর একটা প্রতিক্রিয়া থাকবে।’
সব মিলিয়ে গোলাম সিপিডির গবেষণা পরিচালকের বক্তব্য, ‘(জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য) সার্বিকভাবে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যয় বৃদ্ধির ঘটনা ঘটবে। মূল্যস্থীতির যে চাপটি এই মুহেূর্তে রয়েছে জনগণের ওপরে, সাধারণ ক্রেতার ওপরে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে সেটা আরেক দফা বাড়বে।’
জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে এই খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘আমরা মনে করি এই ধরনের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা যদি দাতাতের শর্তের অংশ হিসেবেও হয়, তাহলেও এইভাবে তা ভোক্তার ওপরে না চাপিয়ে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনার আওতায় করা উচিত ছিল।’
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যেমন ডিজেলের ক্ষেত্রে প্রতিবছর বিপিসির কাছ থেকে তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ নিয়ে নিয়েছে (সরকার)। সেই অর্থটি যদি (সরকার) না নিতো, তাহলে বিপিসির জন্য এই মুহূর্তে ভর্তুকির জন্য সরকারের ওপর নির্ভর করতে হতো না এবং বিপিসি তার নিজের অর্থ দিয়েই হয়তো তার জ্বালানি ব্যয় পরিশোধ করতে পারত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু সেটি জনগণের ওপরে না চাপিয়ে দিয়ে বরং দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার উদ্যোগগুলোর আলোকে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়া উচিত ছিল।’