কক্সবাংলা ডটকম :: ঘরের মাঠে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠেছে পিএসজি এবং চেলসি।
মঙ্গলবার রাতে রোমাঞ্চ ছড়ানো কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে জিতলেও বিদায় নিতে হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান বায়ার্ন মিউনিখকে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছিল পিএসজি।
এতে দুই লেগ মিলিয়ে দুই দলের গোল ব্যবধান ৩-৩ থেকেছে। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে বেশি গোল দেওয়ার সুবাদে পিএসজি জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে । ম্যানচেস্টার সিটি ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যে বিজয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলবে তারা।
মঙ্গলবার রাতে অপর খেলায় সেভিয়ার মাঠে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে এফসি পোর্তো কিন্তু আগের লেগে ২-০ গোলে ম্যাচ জেতায়এগিয়ে চেলসিই। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চেলসি সাত বছর পর শেষ চার এ উঠেছে।। যেখানে তারা খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা লিভারপুলের বিপক্ষে।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মেহেদি তারেমির বিশ্বমানের গোলে ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালের টিকিট পায়নি পোর্তো৷ মঙ্গলবার সেভিয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পোর্তোর কাছে হেরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় চেলসি৷ সেই সঙ্গে সাত বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ইংলিশ ক্লাবটি৷
প্রথম লেগে পোর্তোর বিরুদ্ধে ২-০ জিতে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে ছিল চেলসি৷ ফিরতি লেগে হেরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল টমাস টুখেলের দল। করোনাভাইরাসের ফলে ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে দুই দলই তাদের শেষ আটের লড়াই সেভিয়াতে খেলতে রাজি হয়েছিল৷ মঙ্গলবার রাতে সেভিয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে ০-১ গোলে হারে চেলসি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে এগিয় থেকে সাত বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইংলিশ দলটি। চেলসি শেষবারে উঠেছিল ২০১৪ সালে৷
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে ছিল পোর্তো। কিন্তু প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি কোনও দলই। চেলসি তিনটি ও পোর্তো পাঁচ বার সুযোগ পেয়েও গোলে বল রাখতে ব্যর্থ হয়।
অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। ডি-বক্সে ঢুকে ম্যাসন মাউন্টের নেওয়া শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৩৩ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পোর্তোর হেসুস করোনা। সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে ভালো পজিশনে পেয়ে উড়িয়ে মারেন মেক্সিকোর এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দল৷ দুই দলই অজস্র সুযোগ নষ্ট করে৷
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা মেহদি তারেমির দুর্বল হেড সহজেই ঠেকিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক। ম্যাচে এটিই ছিল লক্ষ্যে প্রথম শট। তবে ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসেন তাঁর কাছ থেকেই৷ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সতীর্থের ক্রসে অসাধারণ ওভারহেড কিকে বল জালে জড়ান তারেমি। এরপরই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান রেফারি৷ মরশুমে প্রথম হারের স্বাদ পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দে মাঠ ছাড়ে টুখেলের দল।
Posted ৩:০৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta