মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

৫১ বছরে বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র জয়ই কি আওয়ামী লীগের পরবর্তী কাণ্ডারি?

মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
357 ভিউ
৫১ বছরে বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র জয়ই কি আওয়ামী লীগের পরবর্তী কাণ্ডারি?

কক্সবাংলা ডটকম(২৭ জুলাই) :: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ৫১ বছরে পা রাখলেন। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই তার জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বছরে জন্ম নেয়ায় নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নাম রাখেন জয়। তিনি প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দম্পতির সন্তান।

পঁচাত্তরে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় বাবা-মার সঙ্গে জার্মানিতে অবস্থান করেন জয়। পরে মা শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলে আসেন ভারত। তার ছেলেবেলা ও প্রারম্ভিক পড়াশোনা সেখানেই। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি পান। স্নাতকোত্তর করেন দেশটির হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্নের কথা বলা হয় তার স্বপ্নদ্রষ্টা জয়।ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা করা হয়। গত এক যুগে দেশে তথ্য প্রযুক্তির যে বিকাশ হয়েছে তার অন্যতম কারিগর জয়।

জয়ের রাজনৈতিক জীবন অবশ্য শুরু ২০১০ সালে। বাবা ওয়াজেদ মিয়ার জন্মস্থান রংপুরের জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভের মাধ্যমে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ভালো প্রভাব তৈরি করেন। নেতৃত্ব ও প্রভাবের কারণে ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন জয়।

৫১ বছরে বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র জয়

এমন এক সময়ে সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ৫০ বছর পূর্ণ করছেন যখন বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় একটি রাষ্ট্র হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছে তার মা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। যখন জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সোনার বাংলা এখন দৃশ্যমান। আর সেটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের কারণে।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ৫০ বছরের অভিযাত্রায় নানারকম টানাপোড়েন, ঘাত-প্রতিঘাত ছিল। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের পর ২১ বছর বাংলাদেশ ছিল গণতন্ত্রহীন, মানবাধিকার ছিল বুটের তলায় পিষ্ট, মানুষের মৌলিক অধিকার ছিলনা, উন্নয়নের কোন স্বপ্ন ছিল না, মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিল। এরকম একটি অবস্থা থেকে দেশকে ধাপে ধাপে আজকের অবস্থানে এসেছেন শেখ হাসিনা।

কিন্তু এই ৫০ বছরের দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জনগণের সামনে প্রথম প্রশ্ন যেটি সেটি হলো শেখ হাসিনার পর কে? বারবার এই উত্তর এই প্রশ্নের উত্তরে এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং কঠোর বাস্তবতা আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। এটাই বাস্তব, এটাই সত্যি। পাশাপাশি এটাও সত্যি যে, শেখ হাসিনার পরে যদি যোগ্য নেতৃত্বের হাতে আওয়ামী লীগ এবং যোগ্য নেতৃত্বের হাতে বাংলাদেশ না পড়ে তাহলে এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আবার মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, আবার বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারে সেই অন্ধকার টানেলে। আর সেজন্য সবার কাছেই একটি উদ্বেগের প্রশ্ন, শেখ হাসিনার পর কে? আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই অনেকেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম উচ্চারণ করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় হলেন বাংলাদেশের এক অনুচ্চারিত তারুণ্যের জাগরণের নাম। যে ডিজিটাল বাংলাদেশের উপর ভর করে করোনাকালে বাংলাদেশ আজ সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে পারছে, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবক্তা হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বাংলাদেশের তরুণ সমাজ আজ নূতন উদ্দীপনায় তথ্যপ্রযুক্তিতে যোদ্ধা হয়ে উঠছে এবং বিশ্বে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের মেধা মননের এক পথিকৃৎ। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের তারুণ্যের অহংকার। আর এ কারণেই অনেকেই মনে করেন যে, একটা পর্যায়ে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি হবে তখন সজীব ওয়াজেদ জয়ই হয়তো আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হবেন। তার হাতেই হয়তো আওয়ামী লীগ নতুন অভিযাত্রায় এগিয়ে যাবে। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয় কি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নেবেন কিনা তা নির্ধারিত নয়।

আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যা পূর্বনির্ধারিত রাজনৈতিক নেতৃত্বে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং অভিপ্রায়ের আলোকেই নেতৃত্ব গড়ে ওঠে। যেমন- হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বের আসনে উঠে এসেছিলেন শুধুমাত্র নেতাকর্মী এবং জনগণের ভালোবাসায়। শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষা থেকেই। এক ধরনের গণদাবীর মুখেই ক্ষয়িষ্ণুমান আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর জন্য শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন। সেই রকম ভাবেই সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন কি আসবেন না সেটি নির্ভর করবে নেতাকর্মী এবং জনগণের উপর। কিন্তু জয় যে আওয়ামী লীগের একজন ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি হবেন এ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহই নেই।

357 ভিউ

Posted ১:৫১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com