কক্সবাংলা ডটকম(২ ডিসেম্বর) :: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজত এখন একটি ‘সম্মানজনক’ সমঝোতার পথ খুঁজছে। সমঝোতার জন্য তারা সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগও করছে।
কিন্তু, আওয়ামী লীগ এই ইস্যুতে হেফাজতের সাথে কোন রকম সমঝোতায় যেতে আগ্রহী নয়। বরং জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধিতাকারীদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে চায়। আওয়ামী লীগ মনে করে, ধর্মান্ধ, মৌলবাদীদের প্রতিহত করার এটাই উপযুক্ত সময়।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হলে হেফাজত তা টেনে হিচড়ে নামিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। হেফাজতের এই ঘোষণার পরপরই কঠোর অবস্থানে যায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এধরনের বক্তব্যকে ধৃষ্টতাপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। এর পরপরই আওয়ামী লীগের প্রায় সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মাঠে নামে। আওয়ামী লীগ মৌলবাদীদের অবস্থানের দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
সারাদেশে আওয়ামী লীগের কর্মসূচীতে পিছু হটে হেফাজত। হেফাজত বুঝতে পারে এই ইস্যুতে এগুলে টিকতে পারবে না তারা। একারণেই দলটির নেতারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে হেফাজতের যোগাযোগ শুরু হয়। এই যোগাযোগে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন তারা বঙ্গবন্ধুর নির্মীয়মান ভাস্কর্য নিয়ে আর কথা বলবে না। সরকারও যেন নতুন করে আর কোন ভাস্কর্য নির্মানের উদ্যোগ না নেয়।’ কিন্তু আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড, হেফাজতের সঙ্গে এ নিয়ে আর কোন সমঝোতায় যেতে আগ্রহী নয়।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, অনেক হয়েছে, হেফাজতকে আর আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হবে না। এখনই যদি এদের উদ্ধত্য বন্ধ না করা যায়, তাহল ভবিষ্যতে এরা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে। নিত্য নতুন ইস্যু নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবে। এটা কিছুতেই হতে দেয়া যায় না। আওয়ামী লীগ তাই হেফাজতকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে চায়।
আওয়ামী লীগ মনে করে এটাই হবে বাংলাদেশে মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে শেষ যুদ্ধ। এদিকে ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতের মধ্যেও এখন বিরোধ দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছে, হুট করে এই ইস্যুতে হুমকি দিয়ে হেফাজতের কয়েকজন নেতা হেফাজতের অস্তিত্বকেই সংকট ফেলেছেন।
Posted ৯:৫৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta