কক্সবাংলা ডটকম(২৯ এপ্রিল) :: এডসের মতো মারণ রোগের চিকিৎসায় কি তবে আশার আলো দেখা গেল? দু’টি নতুন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে রোগীদের।
ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) ওষুধ দু’টিতে অনুমোদন দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি রোগীদের উপর প্রয়োগ করা শুরু হবে।
ওষুধ দু’টির নাম রিলপিভিরিন ও ক্যাবোটেগ্রাভির। দুটিই অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ।
গবেষকেরা জানিয়েছে, ওষুধ দু’টির ‘কম্বিনেশন’ তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ডোজ়ে মিশিয়ে তা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে রোগীকে দেওয়া হবে।
প্রথম ডোজ়ের একমাস পরে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে। এর পর প্রতি দু’মাস অন্তর সেই ইঞ্জেকশন এডস রোগীদের দেওয়া শুরু হবে।
হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি এক বার মানব শরীরে প্রবেশ করলে তা আক্রমণ করে দেহের অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটি ব্যবস্থাকে।
দেখা দেয় ‘অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম’, যাকে এক কথায় বলে এডস।
এখনও পর্যন্ত এই রোগ সম্পূর্ণ ভাবে নিরাময় করার মতো কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি জানা নেই।
তাই নতুন ওষুধ কার্যকরী হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হতে পারে বলেই মত গবেষকদের।
এইচআইভি মানুষের শরীরে ঢুকলে সবচেয়ে আগে শরীরের রোগ প্রতিরোধী টি-কোষকে নিশানা করে। খুব দ্রুত জিনগত ভাবে বদলে যেতে পারে এই ভাইরাস।
মানুষের শরীরে ঢুকলে তাড়াতাড়ি বিভাজিত হয়ে সংখ্যাতেও বাড়তে পারে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধী কোষগুলিকে নষ্ট করতে শুরু করে। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে শুরু করে। সাধারণ কোনও সংক্রমণ হলেও তা বড় ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বাড়ে।সে জন্য রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হয়।
গবেষকদের দাবি, নতুন ওষুধের যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়,তা হলে দু’মাস অন্তর ইঞ্জেকশন দিতে থাকলে রোগীদের প্রতি দিন কড়া ওষুধ খেয়ে যেতে হবে না।
তা ছাড়া সংক্রমণের ভয়ও কম থাকবে। নতুন এই ওষুধ কতটা কার্যকর হতে পারে, সেটাই এখন দেখার।
Posted ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta