শুরুতে নারিন-লিনের জুটিতে ছোট একটা ধাক্কা। তারপর মাঝখানে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরা। শেষ পর্যন্ত ১৩ রানের জয়ে ফাইনাল। সাকিব বলছেন, ঠিকঠাকভাবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারার কারণেই এই ম্যাচ জিততে পেরেছে তার দল।
কলকাতা এদিন টস জিতে হায়দরাবাদকে আগে ব্যাট করতে পাঠায়। সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে দলটি। জবাব দিতে নেমে শাহরুখ খানের দল ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানে থেমে যায়। সাকিব আল হাসান ২৮ রান করার পাশাপাশি তিন ওভারে ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
মাঠ ছাড়ার সময় টিভি উপস্থাপককে সাকিব বলেন, ‘আমরা জানতাম শেষ দুই-তিন ওভারে ম্যাচ হেরে যেতে পারি। সেটা হয়নি কারণ অন্যদিনের অভিজ্ঞতা আমরা এদিন কাজে লাগাতে পেরেছি।’
শুধু দলীয় অভিজ্ঞতা নয়, সাকিব নিজেও আইপিএলে অন্যতম সেরা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেকেআর অধিনায়ক দিনেশ কার্তিককে যেভাবে আর্মবলে বোল্ড করেন, তা ছিল দেখার মতো। সাকিব এই নিয়ে তৃতীয়বার আইপিএলের ফাইনাল খেলবেন।
‘আমি তৃতীয়বার আইপিএলের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছি। ফ্রাঞ্চাইজিকে ধন্যবাদ আমাকে প্রত্যেক ম্যাচে সুযোগ দেয়ার জন্য,’ বলছিলেন সাকিব।
রান তাড়া করতে নেমে সুনিল নারিন আর ক্রিস লিন দারুণ শুরু করেন। ৮৭ রানে এক উইকেট থেকে ১১৮ রানে ছয় উইকেট হয়ে যায় তাদের! এই সময়টুকুকেই সাকিব ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলছেন, ‘মাঝের ওভারে আমি আর রশিদ যখন বল করছিলাম, তখনই ম্যাচ ধরে ফেলি। এটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট।’
রশিদ এদিন শেষদিকে ব্যাট হাতে ১০ বলে ৩৪০ স্ট্রাইকরেটে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। বল হাতে ১৯ রান খরচায় নেন তিন উইকেট। এর মধ্যে দুই ওভারই ছিল ডট! ২৭ তারিখের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ধোনির চেন্নাই।