বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

SWIFT থেকে বাদ রাশিয়া! কী এই SWIFT? কেন বাদ পড়ে আরও বিপাকে পুতিনের দেশ

রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
421 ভিউ
SWIFT থেকে বাদ রাশিয়া! কী এই SWIFT? কেন বাদ পড়ে আরও বিপাকে পুতিনের দেশ

কক্সবাংলা ডটকম :: এবার রাশিয়াকে আর্থিকভাবে আরও দুর্গতিতে ফেলতে সুইফট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় জোট। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের প্রধান রাস্তা এই সুইফট। এর ফলে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্তর্জাতিকস্তরে আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে মস্কোর বৈদেশিক বাণিজ্যে।

এই যৌথ নিষেধাজ্ঞার ফলে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা থেকে রাশিয়া আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ইউক্রেনে হামলার প্রেক্ষিতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এসডব্লিউআইএফটি বা সুইফট-এর পুরো নাম দি সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন। এটি একটি বেলজিয়ামের সমবায় সংস্থা। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকগুলোর মধ্যে আর্থিক লেনদেন এই সংস্থার মাধ্যমেই হয়। রাশিয়ার আগে ইরানকে সুইফটের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

তার ফলে নিজেদের বৈদেশিক বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশই হারাতে হয়েছে ইরানকে। রাশিয়াও তাদের গ্যাস এবং খনিজ তেলের রফতানির মাধ্যম হিসেবে এই সুইফকেই ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে সুইফট থেকে বাদ পড়ায় রাশিয়ার গ্যাস এবং তেল রফতানিও ধাক্কা খাবে।

তবে শুধু আর্থিক ব্যবস্থাই না। সুইফট থেকে বাদ পড়ায় রাশিয়ার ইন্টারনেট ব্যবস্থাও কার্যত বিকল হয়ে পড়বে। তবে, রাশিয়ার পক্ষে আশার কথা একটাই। তাদের মাত্র কয়েকটা ব্যাংককে আপাতত এই আর্থিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। হামলা বাড়ালে গোটা রাশিয়াতেই এই আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তেমনটা হলে, প্রবল সমস্যায় পড়তে হবে পুতিনের দেশকে।

আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি, বিশ্বের ২০০ দেশের ১১ হা্জার ব্যাংকে তথ্য যাচাইয়ের কাজও করে থাকে সুইফট। তার মধ্যে বেশিরভাগই সেই সব দেশের কেন্দ্রীয় বা প্রধান সরকারি ব্যাংক। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, সুইফট থেকে বাদ পড়লে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর আর্থিক লেনদেন টেলিফোন এবং ফ্যাক্স মেশিনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। বর্তমান বিশ্ব থেকে কার্যত কয়েকগুণ পিছিয়ে যাবে রাশিয়ার আর্থিক ব্যবস্থাপনা।

আর্থিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাশিয়া

রাশিয়ার কিছু ব্যাংক এবার সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ক্ষতি হবে তা নিশ্চিত। কিন্তু যারা এ ব্যাপারে সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করল, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, তারাও এতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ, রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সুইফট ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ করে মার্কিন ও জার্মানির ব্যাংকগুলো।

রাশিয়ার ক্ষতিও নেহাত কম হবে না—অন্তত স্বল্প মেয়াদে। বিশ্বে গ্যাস ও তেল রপ্তানিতে রাশিয়া শীর্ষ দেশ। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তারা মার্কিন ডলারে এই তেল ও গ্যাসের বাণিজ্য করে থাকে। ফলে এখন আন্তর্জাতিক পেমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে রাশিয়া বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। এতে মুদ্রার মান পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মুদ্রা পাচারের শঙ্কা দেখে দেবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

রাশিয়ার বিকল্প ব্যবস্থা

তবে ২০১৪ সাল থেকেই এসব হুমকি-ধমকি চলতে থাকায় নিজের আর্থিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে রাশিয়া ইতিমধ্যে বেশ কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। জানা গেছে, ভিসা ও মাস্টারকার্ড পেমেন্ট ব্যবস্থা থেকে বিযুক্ত হলে রাশিয়ার পক্ষে অভ্যন্তরীণ লেনদেন করা সম্ভব হবে, তবে আন্তর্জাতিক লেনদেন করা সহজ হবে না।

২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বেশ কিছু ব্যাংককে কালো তালিকাভুক্ত করে। ভিসা ও মাস্টারকার্ড বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সেবা বন্ধ করে দেয় এবং তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে বাধা দেয়। পরের মাসে রুশ সরকার নতুন এক আইন পাস করে ন্যাশনাল পেমেন্ট কার্ড সিস্টেম প্রবর্তন করে-পরবর্তীকালে যা এমআইএর নামে পরিচিত হয়। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শতভাগ নিয়ন্ত্রণাধীন এই কার্ড–ব্যবস্থা রাশিয়ার অভ্যন্তরে লেনদেন প্রক্রিয়াজাতকরণে ক্লিয়ারিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির অভ্যন্তরীণ কার্ড লেনদেনের ২৪ শতাংশ এর মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয়।

তবে রাশিয়ার বাইরে এখনো মীরের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা সহজ নয়। শুধু আর্মেনিয়া ও রাশিয়া-সমর্থিত দক্ষিণ ওসেটিয়া এবং আবখাজিয়ার জর্জিয়ান অঞ্চলে এর পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা মেলে। তুরস্ক, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তানে এর আংশিক কার্যক্রম আছে। আন্তর্জাতিক মায়েস্ট্রো সিস্টেম, চায়নিজ ইউনিয়নপে ও জাপানিজ জেসিবির সঙ্গে কো-ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে কিছু লেনদেন করা যায় মিরের মাধ্যমে। তবে নাম দেখে তাকে বৈশ্বিক কার্ড হিসেবে ঠাহর হলেও বাস্তবে সে তেমন কিছু নয়।

মধ্যমেয়াদে রাশিয়ায় অভ্যন্তরীণ লেনদেনের ক্ষেত্রে সুইফটের বিকল্প হতে পারে সিস্টেম ফর ট্রান্সফার অব ফাইন্যান্সিয়াল মেসেজ বা এসপিএফএস। এটাও সেই ২০১৪ সালের পর প্রতিষ্ঠিত। সুইফটের বিকল্প হিসেবেই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০২০ সালে এসপিএফএসের মাধ্যমে লেনদেন ১ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছায়। কিন্তু সুইফটের তুলনায় এখনো সে তেমন কিছু নয়। ৪০০টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার এই বিকল্প ব্যবস্থায় যোগ দিয়েছে, যার বেশির ভাগই রাশিয়ান ব্যাংক, তবে রাশিয়ায় পরিচালিত বিদেশি ব্যাংক, যেমন ইউনিক্রেডিট, ডয়েচে ব্যাংক, রাইফেইসেন ব্যাংক, টিঙ্কফ ও ভোস্টোচনি ব্যাংকগুলো এখনো যোগ দেয়নি। নতুন সদস্যদের আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিস্টেমের শুল্ক কমিয়ে সুইফটের প্রায় অর্ধেক করে ফেলে।

গত বছর পর্যন্ত রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ লেনদেনের ২০ শতাংশ হয়েছে এসপিএফএসের মাধ্যমে। রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। তবে তাদের কিছু প্রযুক্তিগত সদস্যা আছে—শুধু কর্মদিবসে এর সেবা মেলে, যেখানে সুইফট ২৪ ঘণ্টাই সেবা দেয়। ফলে অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও এই ব্যবস্থা এখনো সুইফটের সমকক্ষ হয়নি।

চীনের উদ্যোগ

এ অবস্থায় চীনের ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমকে (সিআইপিএস) বাস্তবসম্মত বিকল্প হিসেবে ভাবছে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো। আর সিআইপিএসের গুরুত্ব বৃদ্ধির ঘটনায় ধারণা করা যায়, আন্তর্জাতিকভাবে ডলারের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার রুবলের চেয়ে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

তবে সুইফটের বিকল্প হিসেবে গ্রহণযোগ্য স্থান দখল করতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে সিআইপিএসকে। আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের ব্যবহার ২ শতাংশের কম—মার্কিন ডলারের ব্যবহার ৪০ শতাংশ। এমনকি ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড কিংবা জাপানি মুদ্রা ইয়েনের তুলনায়ও পিছিয়ে আছে ইউয়ান।

তবে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, কম ব্যবহার সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সুইফটের আঞ্চলিক বিকল্প হয়ে উঠতে পারে সিআইপিএস। যেমন ইউরেশিয়া অঞ্চলে এর একক ব্যবহার শুরু হতে পারে। এ ছাড়া সিআইপিএসের ওপর রাশিয়ার নির্ভরতা বাড়ছে। সম্প্রতি রাশিয়ার ২৩টি ব্যাংক সিআইপিএস ব্যবস্থায় যোগ দিয়েছে—বিপরীতে কেবল ব্যাংক অব চায়না রাশিয়ার এসপিএফএস ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে। তাই বড় প্রশ্ন হচ্ছে, সুইফটের বিকল্প হতে চীন কি রাশিয়ার এসপিএফএসকে সঙ্গে নিয়ে এগোবে, নাকি নিজেরাই এককভাবে সিআইপিএসের প্রসার ঘটাতে চাইবে।

অন্যদিকে আর্থিক লেনদেনে মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ২০২০ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন করেছে রাশিয়া। ক্রিপ্টোকারেন্সির পরিবর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনে চীন ও রাশিয়া এখন অগ্রণী। এতে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।

তবে রাশিয়ার বাইরে অর্থ প্রদানের মাধ্যম হিসাবে ডিজিটাল রুবলকে সবাই হয়তো সহজে গ্রহণ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশ কিংবা তুরস্কের মতো ভারসাম্য রক্ষাকারী দেশে এর ব্যবহার হতে পারে। যত যা–ই হোক, তা আঞ্চলিক গণ্ডিতেই থাকবে। আবার ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে পাশ কাটানো হয়তো সম্ভব হবে না রাশিয়ার পক্ষে। কারণ, ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেনও যুক্ত করেছে।

তবে সুইফটে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) মানতে চায় না। ইরানের ওপর সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ইইউর অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাখোশ হয়েছিল। সে সময় সুইফটের বিকল্প হিসাবে ইইউ ইনস্ট্রুমেন্ট ফর সাপোর্টিং ট্রেড এক্সচেঞ্জেস (ইনসটেক্স) চালু করে। ইইউ ভবিষ্যতে ইনসটেক্সের কার্যকারিতা উন্নত করার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলো ইতিমধ্যে এতে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি তারা ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মতো পেমেন্ট কার্ডের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে। তাই সুইফটের বিপরীতে ইইউর এই প্রচেষ্টা রাশিয়া ও চীনকে বিকল্প তৈরিতে সাহায্য করবে।

বিষয়টি হলো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় পুতিন অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করছিলেন। অনেক বিশ্লেষক অবশ্য মনে করেন, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে তেমন একটা বিপদে ফেলতে পারবে না। তবে সুইফট থেকে বাদ পড়া নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা। হয়তো পুতিন সেটা প্রত্যাশা করেননি।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শুধু রাশিয়া নয়, পুরো পৃথিবীর অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করবে। পশ্চিমা বিশ্বও খুব বেশি দিন তা সহ্য করতে পারবে না। ইউরোপ একেবারেই পারবে না অথবা জার্মানি ও ইতালি সেই ভার বইতে পারবে না। গ্যাসের জন্য তারা রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া গ্যাস বন্ধ করে দিলে এই দুই দেশের অর্থনীতি রীতিমতো ভেঙে পড়বে।

সূত্র: কার্নেগি মস্কো সেন্টার, ওয়াশিংটন পোস্ট

421 ভিউ

Posted ১০:৪৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com