মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া :: আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধৈর্যশীল ছিলো বলেই চকরিয়ায় কোটার বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনে অপ্রিতীকর কোন ঘটনা ঘটেনি।
পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতির কারণে যারা ধ্বংসাত্মক কাজ করার চেষ্টা করেছিলো তারাও আর আগাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কল্যাণ পার্টির প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতিক।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন শান্ত, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প:প: কর্মকর্তা ডা.শোভন দত্ত, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী, চকরিয়া পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া শাখার সভাপতি সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক, চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছোটন কান্তি নাথসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, কত কয়েকদিন আগে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের সময় কিছু উশৃংখল ব্যাক্তি পুলিশের সাথে খারাপ আচরণ করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছে।
ওই মামলাটিতে অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে। কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, পুলিশ এসল্ট মামলায় কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়ে সেজন্য পুলিশকে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি চকরিয়ায় কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে ড্রোন ব্যবহার করছে। এসব ড্রোন কারা ব্যবহার করছে তা চিহ্নিত করারও দাবি জানান তিনি।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, চিংড়ি জোনগুলোতে দুষ্কৃতকারীরা মাছ লুট করছে। এই মাছ লুট করার জন্য কয়েকজন দুবৃত্ত স্পীড বোট ব্যবহার করে,যাতে নিরাপদে মাছ লুট করে পালিয়ে যেতে পারে। এসব বোট জব্দ করার জন্যও তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।
পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল অব সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, চকরিয়ায় যে কোন ধ্বংসাত্মক কাজ হয়নি সেটাই বড় কথা। দেশে কোন ঘটনা ঘটলেই এই চকরিয়া আলোচনায় থাকতো। কিন্তু এরকম পরিবেশে চকরিয়া শান্ত ছিলো, কোন হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।
এর থেকে বুঝা যায় চকরিয়া মানুষ শান্তি চাই, উন্নয়ন চাই, দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। সেজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি যেসব ছাত্র রাস্তায় নেমেছিলো কিন্তু উশৃংখলতা দেখাইনি তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Posted ৩:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta