কক্সবাংলা ডটকম(২০ জুন) :: এক নদ রয়েছে যা ১১টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। নীল নদ,নামটি মাথায় এলেই সর্বাগ্রে চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিশরের মরুভূমি, উট, পিরামিড। কিন্তু, এগুলি ছাড়াও এই নদের সঙ্গে যোগ রয়েছে আরও অনেক কিছুরই।
সম্প্রতি, সেই নীল নদের পাড়েই পুরাতত্ত্ববিদরা এক নতুন সমাধিক্ষেত্র জনসমক্ষে আনলেন। ২০১৫ সালেই আবিষ্কার করা হয়েছিল এই সমাধিস্থলটি। কিন্তু, ২০১৭ সালে তা সম্পূর্ণভাবে উদ্ঘাটিত হয়।
নীল নদের গতিপথ। ছবি— পিনটরেস্ট
মিশরে প্রবেশের আগে, নীল নদ বয়ে আসে সুদানের মধ্যে দিয়ে। দক্ষিণ সুদানের নুবিয়ার সাই আইল্যান্ড এক সময়ে মিশরের অধীন ছিল বলে জানা যায়। প্রায় ৩৪০০ বছর আগে, মিশরীয়রা এই দ্বীপে শুধু যে বসবাস করত, তাই-ই নয়। তারা সেখানে দুর্গও নির্মাণ করে বলে জানিয়েছেন পুরাতত্ত্ববিদ ও ঐতিহাসিকরা। তাঁদের তথ্য অনুয়ায়ী, এই সাই দ্বীপেই এক সময়ে ছিল সোনার খনি।
পুরাতত্ত্ববিদদের মতে, সাই আইল্যান্ড খুঁড়ে যে সমাধি পাওয়া গিয়েছে, তা মূলত সেই সোনার খনির মজদুরদেরই। মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছে নানা প্রাচীন মিশরীয় নিদর্শন। সঙ্গে সোনার আংটি, সেরামিকের বাসনও। পাওয়া গিয়েছে মমিও, কিন্তু সম্পূর্ণ অবস্থায় নয়। তাই, পুরাতত্ত্ববিদের দল সঠিকভাবে বলতে পারছেন না কতজন মানুষের মমি উদ্ধার করা হয়েছে।
Posted ৪:৪১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta