কক্সবাংলা ডটকম(১৬ মার্চ) :: ২০১৯ সালে তেজসের অবিকল একটি নতুন সংস্করণ পেতে চলেছে ভারতের বিমান বাহিনী৷ একদশক আগে এই প্রজেক্ট ছাড়পত্র পেয়েছিল৷ অবশেষে তা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে৷ নতুন অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান তেজস মডেলের নাম MK2৷ সম্পূর্ণ নতুন ফাইটার তেজসগুলি হবে মার্ক-২ জেট ৷ আপগ্রেটেড ব়্যাডার, উচ্চ জ্বালানি ও বেশি অস্ত্রধারণ ক্ষমতা থাকবে এই তেজসের৷ থাকবে শক্তিশালী ইঞ্জিনও৷
ভারত সরকার ইতিমধ্যেই তেজসের এই নতুন মডেলের ভাল্ভ এবং চাকার জন্য টেন্ডার ডেকেছে৷ দেশ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন প্রস্তুতকারক কোম্পানির কাছে দরপত্র চেয়ে পাঠান হয়েছে৷
প্রথমে মনে হয়েছিল, কোনও দিনই MK2 বাস্তবে রূপ নেবে না৷ কিন্তু সরকারি প্রস্তাব মেনে নিয়ে হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিকস লিমিটেডের(HAL) প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, তাঁরা MK-1A এবং MK-2 দুটি মডেলই একসঙ্গে বানানোর উদ্যোগ নেবেন৷ একটা সময় তেজসের MK-2 মডেলের বিলম্বে ভারতের বায়ু সেনা আশাই ছেড়ে দিয়েছিল৷ হ্যাল এব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়ায় তারা আশার আলো দেখছে৷
২০১৬-র জানুয়ারি মাসেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিকে (ADA) ২৪৩১.৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে৷ ভারতীয় বায়ু সেনা যাতে তেজসের মার্ক টু সংস্করণ হাতে পায়, তার জন্য৷ আপাতত এই মডেলের ৮৩টি তেজস চেয়েছে বিমান বাহিনী৷ ২০১৯ সালের মধ্যে তা বানানোই এখন হ্যালের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷
চলতি মাসের শেষেই ভারতীয় সেনার হাতে আরও তিনটি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজস তুলে দেবে HAL. মার্চ মাসের শেষেই এই যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে বলে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এই তিনটি যুদ্ধবিমান এলে বায়ুসেনায় তেজসের প্রথম স্কোয়াড্রনে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হবে ছয় থেকে নয়।
HAL কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রমশ যুদ্ধবিমান ডেলিভারি দেওয়ার গতি বাড়বে।
মোট ১২৩টি এই বিমান অর্ডার দিয়েছিল বায়ুসেনা। এছাড়া আরও ২০১টি আপগ্রেডেড যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যথেষ্ট বিমান না থাকায় এই অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। তবে সঠিক সময়ে তেজস দিতে না পারায় অসন্তুষ্ট বায়ুসেনা।১২৩টি তেজস কেনার জন্য খরচ হবে ৭৫ হাজার কোটি টাকা৷
প্রসঙ্গত, বায়ুসেনা তেজসের গুণাগুণ এবং ক্ষমতা নিয়ে খুব একটা খুশি নয়৷ প্রায় তিন দশক আগে লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (LCA)-কে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল৷ তেজস ফাইটার জেটকে এর থেকে বেশি কমব্যাট রেডি করা দরকার৷ রিপোর্টে প্রকাশ, বর্তমানে সিঙ্গল-ইঞ্জিন তেজসের “সহনশীলতা” মাত্র এক ঘণ্টা৷ তুলনায়, অন্য সিঙ্গল ইঞ্জিন ফাইটার জেটের অস্ত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা অনেক বেশি৷ সুইডিশ গ্রিপেন-ই-এর অস্ত্রধারণ ক্ষমতা তেজসের থেকে দ্বিগুণ৷ আমেরিকান F-16-এর অস্ত্র ধারণ ক্ষমতা তেজসের থেকে তিনগুণ৷