কক্সবাংলা ডটকম(৭ ডিসেম্বর) :: ভোটের ২১ দিন আগে চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। তৃণমূল মতামত ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মহাজোট প্রার্থীদের চূড়ান্ত চিঠি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৪০ এবং ১৪ দলীয় জোট শরিকদের ১৬ প্রার্থীর হাতে চূড়ান্ত মনোনয়ন চিঠি তুলে দেয়া হয়েছে।
মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টিকে ৪০ থেকে ৪২টি আসন ছাড়ছে দলটি। এর বাইরে মহাজোটের শরিক যুক্তফ্রন্টকে ৩টি আসন দেয়া হয়েছে। বাকি যে ২-৪টি আসন এখনো অমীমাংসিত আছে। যে কোনো মুহূর্তেই এর সমাধান হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি শরিক নেতাদের কাছে হস্তান্তর করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ। আজ শনিবার দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরসংবলিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।
জোটের আসন বণ্টনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শরিক দলগুলো আরো বেশি আসন প্রত্যাশা করে। তবে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে এর বেশি মনোনয়ন দিতে পারছে না। শরিক দলগুলো চাইলে অন্য আসনেও নিজেদের প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলে জানাব তার আসলে কী সমস্যা। আমাদের শরিকদের মাঝে মান-অভিমান হবে, আবার একসঙ্গে নির্বাচন করব।
দলে একক প্রার্থী নিশ্চিতের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের (আওয়ামী লীগ) ১৭টি আসনে একাধিক প্রার্থী ছিল। সেখান থেকে একজন করে এনেছি। তাদের চূড়ান্ত চিঠি দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের ২৪০ আসন :
ঢাকা বিভাগে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্তরা হচ্ছেন– ঢাকা-১ সালমান এফ রহমান, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-৫ হাবিবুর রহমান মোল্লা, ঢাকা-৭ হাজী মো. সেলিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১১ এ কে এম রহমতুল্লাহ, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৭ আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ও ঢাকা-১৮ এডভোকেট সাহারা খাতুন। গাজীপুর-১ আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি ও গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি। নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ এ কে এম শামীম ওসমান। টাঙ্গাইল-১ ড. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৩ আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৪ হাসান ইমাম খান, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম টিটু, টাঙ্গাইল-৭ একাব্বর হোসেন। কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান পাপন। মানিকগঞ্জ-১ এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক স্বপন। মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ-৩ এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। নরসিংদী-১ লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীর-প্রতীক, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী-৪ এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ জিল্লুর হাকিম। ফরিদপুর-৩ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-৪ কাজী জাফরুল্লাহ। গোপালগঞ্জ-১ লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা। মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর-২ শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আবদুস সোবহান গোলাপ। শরীয়তপুর-১ ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক।
রংপুর বিভাগের
পঞ্চগড়-১ মাজহারুল হক প্রধান। নীলফামারী-১ আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর। লালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ। রংপুর-৪ টিপু মুনশি, রংপুর-৫ এইচ এন আশিকুর রহমান, রংপুর-৬ ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ ডা. ইউনুস আলী সরকার, গাইবান্ধা-৫ ফজলে রাব্বী মিয়া।
রাজশাহী বিভাগের
জয়পুরহাট-১ শামসুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। বগুড়া-১ আবদুল মান্নান, বগুড়া-৫ হাবিবুর রহমান। নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল জন, নওগাঁ-৬ ইসরাফিল আলম। রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ প্রকৌশলী এনামুল হক, রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ সামিল উদ্দিন আহমেদ। নাটোর-১ শহীদুল ইসলাম বকুল, নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক। সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ ডা. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ-৫ আবদুল মজিদ মণ্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ হাসিবুর রহমান স্বপন। পাবনা-১ শামসুল হক টুকু, পাবনা-৩ মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, পাবনা-৫ গোলাম ফারুক প্রিন্স।
খুলনা বিভাগের
ঝিনাইদহ-১ আব্দুল হাই। মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন দোদুল। কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ সেলিম আলতাফ জর্জ। চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আলী আজগার টগর। যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর-৬ ইসমাত আরা সাদেক। নড়াইল-১ বি এম কবিরুল হক, নড়াইল-২ মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাগুরা-১ সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার। বাগেরহাট-১ শেখ হেলালউদ্দিন, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন্নাহার। খুলনা-১ পঞ্চানন বিশ^াস, খুলনা-৩ মুন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। সাতক্ষীরা-২ মীর মোস্তাক আহমেদ, সাতক্ষীরা-৩ অধ্যাপক ড. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ এস এম জগলুল হায়দার।
বরিশাল বিভাগের
পটুয়াখালী-১ শাহজাহান মিয়া, পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ এস এম শাহজাদা। বরগুনা-১ এডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ শওকত হাচানুর রহমান রিমন। ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আলী আজম, ভোলা-৩ নুরন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ এডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস, বরিশাল-৪ পঙ্কজ দেবনাথ, বরিশাল-৫ কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুখ শামীম। ঝালকাঠি-১ বি এইচ হারুন, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু।
ময়মনসিংহ বিভাগের
জামালপুর-১ আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর-২ ফরিদুল হক খান দুলাল, জামালপুর-৩ মির্জা আজম, জামালপুর-৪ ডা. মো. মুরাদ হাসান, জামালপুর-৫ আসনে মো. মোজাফ্ফর হোসেন, শেরপুর-১ আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ এ কে এম ফজলুল হক চান। ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৩ নাজিমুদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৬ এডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। নেত্রকোনা-২ মোহাম্মদ আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ অসীম কুমার উকিল।
সিলেট বিভাগের
সিলেট-১ আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেট-৪ ইমরান আহমদ, সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ, সুনামগঞ্জ-১ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্তা, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ মহিবুর রহমান মানিক। হবিগঞ্জ-৪ মো. মাহাবুব আলী। মৌলভীবাজার-১ শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-৩ সৈয়দা সায়রা মহসিন, মৌলভীবাজার-৪ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ।
চট্টগ্রাম বিভাগের
চট্টগ্রাম-১ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৭ ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৫ আলী রেজা নেজামুদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ এডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। কুমিল্লা-১ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, কুমিল্লা-২ সেলিনা আহমেদ মেরি, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৪ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা-৫ এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক আলী আশরাফ, কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল লোটাস, কুমিল্লা-১১ মুজিবুল হক। চাঁদপুর-১ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ নুরুল আমিন রুহুল, চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-২ মোর্শেদ আলম, নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী-৪ একরামুল করিম চৌধুরী। লক্ষীপুর-৩ এ কে এম শাজাহান কামাল, লক্ষীপুর-৪ মো. আব্দুল্লাহ।
কক্সবাজার-১(?), কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ শাহীন আক্তার চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার।
