বিশেষ প্রতিবেদক(২৯ সেপ্টেম্বর) :: আজ মহানবমী। বাঙালির প্রানের উৎসবের আজ অদ্যন্তই শেষ রজনী। তবু শেষ রজনীর ভোরেই যেন বাঙালির মনের ডাক দিচ্ছে ‘একটু থেকো মা’। এইতো আর ক’দিন। তারপরেই তুমি যাবে শ্বশুরবাড়ি সামলাতে। আমরা নেমে পড়ব আমাদের বোঝাপড়াতে।
হাইটেক বাঙালি পুজো এখন পাঁচদিন নয়। সে এখন শুরু হয়ে যায় মহালয়া থেকেই। কিন্তু কথার কথার পাঁচদিনের শেষ লগ্নে মা’কে আরও একটু আগলে রাখতে চায়। সেই আগলে রাখার আশা নিয়েই শারদ প্রাতে আগত মহানবমী। চন্দ্রের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হবে মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে দেবীর মহানবমী পূজা হবে।
নবমী সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। যা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলাতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সন্ধিক্ষণেই মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচণ্ড ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পূজা করা হয়েছে, অর্থাৎ যিনি চণ্ড ও মুণ্ডের বিনাশিনী। পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশির্বাদ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র এই মুহূর্তেই রাবণকে বধ করেছিলেন।
নানা আচারের মধ্যদিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। এরপরেই বিজয়া দশমী। মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে দুর্গাদেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।
Posted ১২:০১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta