কক্সবাংলা ডটকম(২৯ জানুয়ারী) :: এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, নৌসেনার অভিযানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল নজরদারি চালানো। আর সেইজন্যই ওই বিমান আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে ঠিক কত পরিমাণ আনা হবে, সেকথা জানাননি অ্যাডমিরাল লাংবা।
আগেও লং রেঞ্জ এয়ারক্রাফটের চাহিদা ছিল নৌবাহিনীতে। ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী সেরকম আটটি এয়ারক্রাফট নৌবাহিনীতে যুক্ত করেছে। আরও চারটির অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তবে P-8I এয়ারক্রাফট নৌবাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই যুদ্ধবিমানকে ‘সাবমেরিন কিলার’ বলেই সম্বোধন করা হয়।
এই এয়ারক্রাফটগুলো দ্রুততর গতিতে পৌঁছে যাবে লক্ষ্যে। প্রযুক্তি আর জ্বালানির হিসাবে এগুলো অনেক বেশি সস্তাও। সাবমেরিনের অবস্থান বুঝতে সেন্সর রয়েছে এতে। বেশ কিছুটা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের ক্ষমতাও রয়েছে এই এয়ারক্রাফটগুলোর। পারিক্কর জানিয়েছেন, এই এয়ারক্রাফটগুলোর সাহায্যে ভারতীয় নৌবাহিনী অনেক দ্রুত গতিতে শত্রুপক্ষের উপর আক্রমণ হানতে পারবে।
ভারতের এই পি-৮১ নেপচুন এয়ারক্রাফট প্রায় আমেরিকার পি-৮ পসেইডনের সমকক্ষ। শুধুমাত্র ভারতের ডেটালিঙ্ক তেরি করেছে BEL যারা ভারতের অন্যান্য সব যুদ্ধবিমানের ডেটালিঙ্ক তৈরি করে থাকে।
২০০৯-এর জানুয়ারিতে এই এয়ারক্রাফটের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার ঠিক দু’মাসের মধ্যেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয় মুম্বইতে। আরও একবার প্রমাণিত হয় যে সামুদ্রিক নিরাপত্তায় অভাব রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার।
Posted ২:২৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta