এমনকি মিত্র দেশগুলো যাতে তেহরান থেকে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি কমিয়ে দেয়, সে লক্ষ্য নিয়েও এগোচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইরানের অর্থনীতির ওপর এমন নানামুখী চাপের মধ্যেও দেশটির পাশে রয়েছে ভারত।
মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে চলতি বছরের জুলাইয়ে ইরান থেকে রেকর্ড পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে দিল্লি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ইরান থেকে ভারতের পরিশোধন কেন্দ্রগুলো প্রতিদিন গড়ে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে, যা আগের মাসের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের মধ্যে ইরান থেকে ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে ইরান থেকে ভারতীয় আমদানিকারকরা প্রতিদিন গড়ে ৪ লাখ ১৫ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছিলেন। সে হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে ভারতের পরিশোধন কেন্দ্রগুলোয় জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বেড়েছে দৈনিক গড়ে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ব্যারেল।
ইরান থেকে রফতানি হওয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দ্বিতীয় শীর্ষ রফতানি গন্তব্য ভারত। ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের আগে তেহরান থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি কমিয়ে দিতে দিল্লির ওপর চাপ তৈরি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
পরবর্তীতে ইরান থেকে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি অব্যাহত রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছিল মোদি সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে গত জুলাইয়ে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি-রফতানি বিষয়ে তেহরান-দিল্লির পারস্পরিক সম্পর্ক আরো পোক্ত হওয়ার তথ্য সামনে এল। মার্কিন চাপ উপেক্ষা করতে পারলে চলতি বছর ইরান থেকে ভারতের বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।