কক্সবাংলা ডটকম(৪ জুলাই) :: তেল রাজনীতিতে বাড়ছে সংকট৷ ইরান নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না দিল্লি৷ মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করলে বিপদ বাড়বে৷ মেনে নিলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত৷ সব মিলিয়ে ট্রাম্পের ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার নির্দেশে গভীর টানাপোড়েনে মোদী সরকার৷
ট্রাম্পের ‘ইরান ব্লক’ নীতির ফলে অনিশ্চয়তায় ভারত-ইরান যৌথ উদ্যোগের চাবাহার বন্দর৷ যদিও, দিল্লির দাবি, তেল আমদানিতে বাঁধা এলেও চাবাহার বন্দরের কাজ আটকাবে না৷
এই বিষয়ে আমেরিকার প্রতিনিধির সঙ্গে কথাও বলেছে ভারত৷ গত সপ্তাহেই ভারত সফরে আসা মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হেলির সঙ্গে বৈঠক হয় দিল্লির৷ আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফের ইরান নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবে ভারত৷ বৈঠকের আগে চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারতকে আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা বলেই দাবি বিদেশমন্ত্রকের৷
চাবাহার বন্দর ও রেল প্রকল্পে ভারতের বিনিয়োগ ৮ বিলিয়ন ডলার৷ ভারত-আফগান-ইরান একজোট প্রকল্প এই চাবাহার৷ ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান-ইরান সংযোগকারী ২৪০ কিমি সড়ক তৈরি করেছে ভারত৷ চলছে চাবাহারের সঙ্গে আফগানিস্তানের রেল যোগাযোগের কাজ৷
আফগানিস্তানে ভারতের বিনিয়োগে তৈরি হাজিগাক খনি প্রকল্পের সঙ্গেই হবে রেল যোগাযোগ৷ ইতিমধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছ৷ এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে ইরানের তেল বিক্রি শূন্য করতে তৎপর ট্রাম্প৷ ৷ ৪ নভেম্বরের মধ্যে ভারত সহ একাধিক দেশে ইরানকে ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকার৷ চাবাহার নিয়ে আশ্বাস মিললেও ট্রাম্পের হঠাৎ নির্দেশ বদলের আশঙ্কায় ভারত৷
এখনও পর্যন্ত তেল আমদানি বন্ধ নিয়ে মুখে তালা দিল্লির৷ দেশের মোট তেল আমদানির ১৩ শতাংশই আসে ইরান থেকে৷ চলতি বছরেই যা ২৫ শতাংশ হওয়ার কথা৷ চাবাহার সহ গোটা বিষয় নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চেয়েছিল ভারত৷ বিদেশমন্ত্রী ও প্রতিক্ষামন্ত্রী ওয়াশিংটনে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন৷
বাধ সাধল আমেরিকাই৷ বৈঠক বাতিল করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমানু আলচনায় মন দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এখনও পর্যন্ত ভারতকে বৈঠক নিয়ে কোনও বার্তা পাঠায়নি আমেরিকা৷ সূত্রের খবর,ইরানকে তেল বাণিজ্যে পঙ্গু করতে তৎপর আমেরিকা জেনে বুঝেই বৈঠক বাতিল করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে সুতোর উপর দাঁড়িয়ে ভারত৷ দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ইরান ভরসার জায়গা৷ আবার তথ্য প্রযুক্তি বাণিজ্যে আমেরিকা ভারতের প্রধান বিনিয়োগকারী৷ সবমিলিয়ে ইরান-আমেরিকা জটে ভারত পথ খুঁজতে তৎপর৷
