এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও(৯ নভেম্বর) ::কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর গ্রামীন জনপদে এবার শীতের তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সন্ধ্যা বা মাঝরাতেই কনকনে শীতের আমেজ লক্ষ্যনীয়।
রোদের তাপমাত্রা দিনের বেলায় কমতে শুরু করলেও পড়ন্ত বিকেল পার হতে না হতেই শীতের লক্ষন বুঝা যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত্রে শীতের তীব্রতা অনুভব করা যাচ্ছে।
তাই পাড়া মহল্লার অসহায় লোকজনদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরনের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। বৃহত্তর ঈদগাঁওর গ্রামাঞ্চলে মাঝ রাতে বাড়ীঘরের চালে পড়ছে কুয়াশা। গ্রামীন জন পদের লোকজন যন্তসহকারে তুলে রাখা কাঁথা, কম্বলসহ শীত নিবারনের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রাদি নতুন করে নামাতে শুরু করেছে।
সেই সাথে দিনভর রোদ্রে গরম পড়লেও বিকেল থেকে শীতল হাওয়া আর সন্ধ্যার পরপর হালকা কুয়াশাও ঝরছে। সকালে যেন বিভিন্ন লতা-পাতা আর গাছের পাতায় শিশিরের অরংকার পড়েতে দেখা যাচ্ছে। আবার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের লোকজন শীতের একমাত্র অবলম্বন কাঁথা।
তাই প্রচন্ড শীত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পরিবারের নারীরাই কাজের ফাঁকে তাদের পুরনো কাঁথা মেরামতের পাশাপাশি নতুন কাঁথা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। দেখা যায়,ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানে শীত কাপড় বিকিকিনি এখনো শুরু হয়নি।
এদিকে চলতি শীত মৌসুম কারো ভয় কিংবা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অসহায় ও হত দরিদ্র লোকজনকে শীতের তীব্রতায় টিকে থাকার লড়াই শুরু হয়েছে। কেউ পেরে ওঠলেও আর অন্য কেউ সহজেই পারেনা।
বৃহত্তর এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের অবহেলিত,সুবিধা বঞ্চিত এবং শীতার্থ লোকজনের দিকে দৃষ্টি রেখে শীতের শুরুতেই শীত বস্ত্র বিতরন করা হয়, তাহলে তার শীতের কষ্ট মুক্তি পাবে বলে মনে করেন অনেকে।
গ্রামীন জনপদে গজে উঠা সামাজিক সংগঠন কিংবা এলাকার বৃত্তবান ব্যাক্তিদেরকে শীত মৌসুমে হতভাগা লোকজন দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহবান জানান। একটি শীত কাপড় একজন অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারে।
Posted ৫:২৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta