এম শফিউল আলম আজাদ,সদর(১০ এপ্রিল) :: কক্সবাজারের টেকনাফে ঈদগাঁওর এক করাতকল শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত শ্রমিক ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে জসিম উদ্দীন (৩৫)।
এ ঘটনায় সন্ধিগ্ধ ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত জসিম উদ্দীন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকায় জনৈক ব্যক্তির করাতকলে শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিল।
৯ এপ্রিল আসরের দিকে তার মৃত্যু হয়। একই দিন তার ২ সহযোগী হ্নীলার কাইন্দার পাড়ার খাইরুল বশর ও সদরের চৌফলদন্ডী নতুন মহালের আমির হামজার ছেলে জিয়াউর রহমান এম্বুলেন্সযোগে জসিম উদ্দীনের মৃতদেহটি তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়।
১০ এপ্রিল সকাল ১০টায় তার জানাযা ও দাফনের সময়ও নির্ধারিত হয়। কাপনের সময় তার মাথায় জখমের চিহ্ন দেখতে পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানালে তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাজ উদ্দীন নিহতের বাড়ীতে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
একই দিন ময়না তদন্ত শেষে মাগরিবের নামাজের পর তার জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়। এদিকে পরিবারকে লাশ বুঝিয়ে দিতে আসা তার ২ সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা জানান, জসিম উদ্দীন করাতকলে কর্মরত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই দিন মালিকের নির্দেশে আমরা তার মৃতদেহ বাড়িতে বুঝিয়ে দিতে আসছিলাম।
তারা আরো জানায় আসার সময় লিঙ্ক রোড এলাকায় তাদের বহনকৃত এম্বুলেন্সটি হার্টব্রেক করলে গাড়ীতে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথায় জখম হয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উভয়পক্ষের লোকদের সাথে বৈঠকে বসেছে পুলিশ।
জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে। এদিকে পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
Posted ১১:৪০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta