মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও(২৮ অক্টোবর) :: কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভারতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ড. এপিজে আব্দুল কালামের মত বিশে^ বিষ্ময় সৃষ্টি করতে হবে। তিনি দেশে-বিদেশে তাঁর জীবনের নানা বিষ্ময় ও অভিজ্ঞতা এবং বিশে^র বরেণ্য ব্যক্তিদের ত্যাগ ও সফলতার কথা তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করেন।
২৮ অক্টোবর বিকেলে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
এমপি কমল তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সরকারের নানা সফলতার কথা তুলে ধরে বলেন, গত ৫ বছরে দেশে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। দেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। জনগণের বার্ষিক মাথাপিছু আয় দেড় লাখে উন্নীত হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকার দেশের জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করছে বলে উল্লেখ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জান্নাতের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈদগাহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বড়ি সভাপতি ও পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আবু তালেব, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মাহমুদুল করিম মাদু, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী, ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির হুমু ও ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ উদ্দীন রাসেল।
স্বাগত বক্তব্য ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ইবরাহীম। আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ¦ মাওলানা জসিম উল্লাহ মিয়াজী, ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান মো. নুর ছিদ্দিক, ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ পরিদর্শক মো. খায়রুজ্জামান, পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক এম. মোখতার আহমদ, জালালাবাদ আ.লীগ সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক ডা. এম মমতাজুল ইসলাম, ঈদগাঁও আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ, ইসলামাবাদ আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মেম্বার, কক্সবাজার সদর যুবলীগ সিনি. সহ-সভাপতি মিজানুল হক, ঈদগাঁও থানা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিশাদ, রামু উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি প্রমুখ।
বিশেষ অতিথিরা বলেন, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এ বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। অবহেলিত এ এলাকার উন্নয়নে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষকরা আন্তরিক হলে বিদ্যালয় একদিন জেলার শীর্ষস্থান লাভ করবে।
তারা বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরে বলেন, বর্তমান ক্রীড়াবান্ধব সরকার কক্সবাজারকে ক্রীড়া নগরীতে পরিণত করেছে। কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মাণের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের ক্রিকেটের নানা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দর্শকরা এখানে উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া রামুতে বিকেএসপির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদগাঁওতে উদ্বোধন করা হয়েছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।
তারা আরো বলেন, ঈদগাঁওতে দুজন গুণীজনের নামে সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। অতীতে কোন সরকারের আমলে এমন উন্নয়ন চোখে পড়েনি। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকায় এসব সম্ভব হয়েছে। তাই এতদ এলাকায় সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারো নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান ও অন্যান্য অতিথিরা বার্ষিক ক্রীড়া-সাহিত্য প্রতিযোগিতা, একাডেমিক, বিদ্যালয়ে ১ম স্থান, অন্যান্য মেধাস্থান, জেএসসি এবং অন্য পরীক্ষায় এ+ প্রাপ্ত মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার তুলে দেন। এতে তাওসিফ রহমান তামিম বিদ্যালয় ১ম এবং রায়হান উদ্দীন সর্বোচ্চ উপস্থিতির জন্য পুরষ্কৃত হয়। অনুষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষক মো. সিরাজুল হক, নুরুল কবির, আবদুল মজিদ খান, মো. রেজাউল করিম, পূর্ণাম পাল, তারিকুল হাসান তারেক, প্রবীণ শিক্ষক শফিক আহমদ, মো. জাফর আলম, আবদুচ ছালাম হেলালী, মো. আবু তাহের, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলম, শেখর কান্তি দে, মো. সিরাজুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, রিমা পাল, সালমিরা সুলতানা সোমা, কামাল উদ্দীন, মোজাম্মেল হক, ইয়াছির আরফাত, শামসুল আলম, ফাতেমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অংশ নেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, অভিভাবক, শুভাকাঙ্খীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন।
সভাপতি তার বক্তব্যে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে চান উল্লেখ করে বলেন, সরকারের আন্তরিকতায় শীঘ্রই অত্র বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া স্মার্ট ক্লাসরুম চালু হবে। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করে ১০ম শ্রেণির আদনান সিদ্দিকী।
এর আগে প্রধান ও অন্যান্য অতিথিরা বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব পাশের্^ নবনির্মিত দোতলা ভবনে শেখ রাসেল হাউজের ফলক উম্মোচন করেন। এসময় দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মো. রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কর্মচারী যথাক্রমে বাবুল কান্তি দে, সোনাধন মল্লিক, আল্পনা পাল, বাবুল জলদাশ ও সুনন্দ জলদাশ।
