মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া(১০ নভেম্বর) :: রাখাইনে বাঙ্গালী লেখা এনভিসি কার্ড আতংকে ভুগছে রোহিঙ্গারা। এসব কার্ড হাতে ধরিয়ে দিয়ে মিয়ানমার সেনারা এখনো নির্যাতন বলবদ রেখেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।
প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গারা নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা।
সচেতনমহল বলছেন, সড়ক পথে রোহিঙ্গারা যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে নাপারে তারজন্য কর্তব্যরত আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তা আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের রুপপতি উপকুলীয় এলাকায় গত শুক্রবার সকাল ১১টায় মিয়ানমার পালিয়ে আসা ১শত ২৫ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ উপকুলে ভিড়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রুপপতি গ্রামের মোহামদ মোস্তাক বলেন, শুক্রবার সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে রুপপতি এলাকায় একটি নৌকা বোঝাই মাছ ধরার ট্রলার উপকুলে ভীড়তে দেখি। সাথে সাথে ইনানী পুলিশকে খবর দিই। ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিবেক আনন্দ স্থানীয়দের সহায়তায় নৌকা থেকে ১শত ২৫ জন রোহিঙ্গা নারী শিশু ও পুরুষকে উদ্ধার করেন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১৮জন, মহিলা ৪০জন এবং ৬৭ জন শিশু রয়েছে। এসআই বিবেক আনন্দ বলেন, রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারের মাঝি উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের বাডু মাঝির ছেলে আবদুল মাজেদকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই উখিয়া সার্কেল চাইলাউ মারমা ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুর আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও মানবিক সহায়তা দিয়ে কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে প্রেরন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মারমা বলেন, উখিয়ার উপকুল রুপপতি থেকে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের ইউএনএইচসিআর এর সহযোগিতায় কুতুপালং ক্যাম্পে হস্থান্তর করা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে অত্যাচার উৎপীড়ন সহ্য করে বসবাস করছে তাদেরকে জোর করে বাঙ্গালি লেখা ভেরিফিকেশন কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা এসব কার্ড গ্রহণ করছে না তাদেরকে সেনা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব কারণে রোহিঙ্গারা জীবন বাজি রেখে সাগর পথে পাড়ি জমাতে শুরু করেছে।
Posted ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta