রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে কুতুপালং বাজারের দক্ষিনে আরকান সড়কের উভয়েই পাশে নিরীহ শরনার্থী গন বন বিভাগের জায়গায় আশ্রয় নেয় ।
বিগত ১ বছর যাবত এই হামিদুল হক বাহিনী রোহিঙ্গাদের প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার কে জিম্মি করে জোরপূর্বক হুমকির মুখে প্রতি পরিবার থেকে মাসে ৫ শ টাকা করে ভাড়ার নামে চাঁদা আদায় করছে । প্রতিমাসে অন্তত চাঁদার নামে ২ লক্ষাধিক টাকা আদায় করে এ বাহিনী ।
শুধু তাই নয় , রোহিঙ্গা পরিবারের শিশুদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্টান নির্মাণে বাঁধা দেওয়াসহ মসজিদ,ড্রেইন বা নালা ,রোহিঙ্গাদের গোসলখানা,টয়লেট ,নলকুপ স্থাপনে বাধা দিচ্ছে সন্ত্রাসী হামিদ বাহিনী ।
এছাড়াও গত ১ সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের জন্য বসানো ৪ টি নলকুপ চুরি করে নিয়ে যায় হামিদ বাহিনীর চোরের দল ।
স্হানীয় গ্রামবাসীরা জানান , শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়ে সরকার যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তা পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র প্রধান করতে পারেনি । এ হামিদ বাহিনীর অত্যাচারের কারনে সরকারের হাতে নেওয়া মানবিকতা কর্মসূচি আলোর মুখ দেখছে না A-3 ব্লকের রোহিঙ্গা দু’শতাধিক পরিবার গুলো । যা ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর হস্তে দমন করা বা প্রতিহত করা উচিত বলে মনে করেন স্হানীয়রা ।
গতকাল বুধবার ১ আগষ্ট সকাল ১১ টার দিকে কুতুপালং গ্রামের হামিদ বাহিনী বন বিভাগের জায়গা থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করতে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর ও হামলা চালিয়ে ৪/৫ টি রোহিঙ্গা ঝুপড়ি পরিবার ভাংচুর এবং ১৫ জন নিরীহ রোহিঙ্গা নারীপুরুষ কে মারধর করে গুরুতর আহত হয়েছে ।
A-3 ব্লকের মাঝি আবুল ফয়েজ ( ফয়েজ মাঝি) বলেন , দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা পরিবার গুলো থেকে ভাড়া আদায়সহ রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য মসজিদ ,মাদ্রাসা, স্কুল, টয়লেট, ড্রেইন ও গোসলখানা নির্মাণে বাধা প্রদানসহ বনবিভাগের জায়গা থেকে মাটি বিক্রি করে বড় পুকুর বানিয়ে অরক্ষিত অবস্হায় ফেলে রাখায় প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা শিশু সন্তানদের নিয়ে শংকিত পরিবার গুলো ।
ওই ব্লকের চেয়ারম্যান আব্দু শুক্কুর জানান , ইতিপূর্বে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার স্হানীয় সন্ত্রাসী হামিদুল হক বাহিনীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্যাম্প ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভুরি ভুরি অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারনে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন না করায় দিন দিন হামিদ বাহিনী বেপরোয়া ও উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠে ।
রোহিঙ্গা মৌলভী নুর কাদের বলেন , নামায পড়ার জন্য একটি মসজিদ স্থাপনের জন্য ক্যাম্প ইনচার্জ কর্তৃক অনুমতি দেওয়া হলেও হামিদুল হক বাহিনীর বাধার মুখে এখনো মসজিদটি নির্মাণ করতে পারিনি । শত শত রোহিঙ্গা শিশু কিশোর শিক্ষার আলো পাচ্ছে না ।
এ ব্যাপারে ক্যাম্প ইন চার্জ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সকল সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণের ব্যবস্থা চলছে বলে জানান ।
Posted ৭:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta