মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(৩১ অক্টোবর) :: প্রতিনিয়ত সরকারী বনভুমি বেদখল হচ্ছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধিন বিশাল বনভুমি এক তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রভাশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় লালিত ব্যক্তিদের নিজস্ব জমিতে পরিনত হয়েছে।
একইভাবে উখিয়া সদর বিটের অধিনে প্রায় ২১ হাজার একর বনভুমি সরকারের আওতার বাইরে চলে গেছে।
এ পাহাড়ি বনভুমিতে পেশাদার বনদস্যরা রাতারাতি পাহাড় কেটে ভুমির শ্রেণী পরিবর্তন করছে। স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী লোকজনের সহায়তায় সেখানে ঘর তোলছে। পরে সুবিধামত সময়ে বিক্রিতে হাতবদল করছে লাখো লাখো টাকা দিয়ে।
এভাবেই প্রতিনিয়িত বেহাত হচ্ছে বনভুমি, উজাড় হচ্ছে বনের গাছপালা, বন্যপশুরা নিরুপায় হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে, যে কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাচ্ছে এলাকার পরিবেশ।
উখিয়া টেকনাফ সড়ক হয়ে ডিগ্রি কলেজের পরে চোখ পড়ে হাজইম্মার রাস্তা। এখানে এক সময় বানর হরিণের আড্ডা ছিল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই রাস্তা থেকে শোনা যেত ঝিঝি পোকার গিটারের মত শব্দ। ছোট ছোট টিলা-পাহাড় কেটে শ্রেনী পরিবর্তন করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধভাবে ঘর। গাছ কেটে উজাড় করেছে বন সম্পদ।
বনের সরকারী কর্তারা বলেন, এসব অবৈধ ঘরবাড়ী উচ্ছেদে গেলে নারী-পুরুষ একযোগে লাঠিসোটা হাতে হাঙ্গামা শুরু করে। উল্টো মামলা করার হুমকিও আসছে।
উখিয়া বনবিটের দায়িত্বরত বিট অফিসার আফছার হোসাইন বলেন, হাজইম্মার ঘোনা এলাকার সরকারী সামাজিক বনায়নের পাহাড়ে মোহাম্মদ আলীর ২য় স্ত্রী লাকী আকতার অবৈধভারে ঘর তোলার সময় বাধাঁ দেওয়া হলে ওই মহিলা ক্ষেপে যায়। এসময় বনসংশ্লিষ্টরা ঘরটি উচ্ছেদ করে।
এভাবে ৩ বার সে অবৈধভাবে ঘর তোলে। বন সংসংশ্লিষ্টরা এ ঘর উচ্ছেদ করায় শেষমেষ বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছে।
কক্সবাজারের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর কাছে সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
Posted ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta