কক্সবাংলা ডটকম :: গোটা টুর্নামেন্টে সব কটি ম্যাচ জিতেই চ্যাম্পিয়ন হলো টোকিও ও প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ীরা। ভারতের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন যুগরাজ সিং।
এই নিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হলো। এবারের টুর্নামেন্টে ভারত লিগ পর্বে চিনকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে।
পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে পরাস্ত হওয়ার পর সেমিফাইনালে শ্যুটআউটে পাকিস্তানকে হারিয়েই চিন ফাইনালে ওঠে। আজ ভারতকেও আদায় করতে হলো কষ্টার্জিত জয়।
ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে ৫১ মিনিটের মাথায়। ভারত এই নিয়ে চিনের সঙ্গে পারস্পরিক দ্বৈরথের ফল উন্নত করে নিয়ে গেল ৬-১-এ।
২০১৩ সালের পর ভারত কখনও হকিতে চিনের কাছে হারেনি। বুধবার ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিলেন হরমনপ্রীত সিংরা। তবে আয়োজক দেশ চিন ভালোই লড়াই চালাল।
প্রথম থেকেই ভারতীয় রক্ষণকে চাপে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছিল চিন। প্রথম কোয়ার্টারে সুখজিতের শট রুখে দেন চিনের গোলকিপার।
৯ মিনিটে ভারত প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায়। কিন্তু চিনের রক্ষণভাগ সতর্ক থেকে ভারতকে গোল পেতে দেয়নি। হরমনপ্রীত সিংও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
ভারতের গোলকিপার কিষাণ পাঠককেও কয়েকটি ভালো সেভ করতে হয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও ভারতকে গোল পেতে দেয়নি চিন।
২৭ মিনিটে হরমনপ্রীত আরও একটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
গোল করতে পারেননি মনপ্রীত সিংও। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই সপ্রতিভ ছিল ভারতীয় দল।
একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে। কিন্তু তা চিনের প্রাচীরে ধাক্কা খেয়ে থমকে যাচ্ছিল বারবার।
উল্টোদিকে, চিনও কয়েকটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ভারতীয় রক্ষণভাগ ছিল মজবুত।
৪১ মিনিটে একটি পেনাল্টি কর্নারও ভালোভাবে বাঁচান কিষাণ পাঠক।
ম্যাচ যত গড়াতে থাকে ততই চিনের উপর চাপ তৈরি করতে থাকে ভারত। অবশেষে ৫১ মিনিটে ডেডলক ভাঙে।
হরমনপ্রীত অনেকটা দৌড়ে ডি বক্সে ঢুকে যুগরাজকে বল বাড়ান। তা থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি যুগরাজ।
এরপর বাকি কয়েক মিনিট চিন মরিয়া হয়ে লড়াই চালায় সমতা ফেরানোর জন্য। কিন্তু ভারতীয় রক্ষণ সতর্ক থাকায় চিনের লক্ষ্যপূরণ হয়নি।
Advertisement ভারত ২০১১ সালে প্রথমবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। গত বছরের পর ফের এই খেতাব জিতল ভারত।
২০১৬ সালেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৮ সালে হয় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন।
Posted ৯:৫০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta