কক্সবাংলা ডটকম(৩০ জুলাই) :: ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ চিন্তিত থাকেন। কী করলে ওজন কমবে? কীভাবে চললে মোটা হওয়ার প্রবণতা কমে? কোন কোন খাবারে ওজন কমে? এমন সব চিন্তায় থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। স্বেচ্ছায় বা অন্যের ইচ্ছায় ওজন কমানোর জন্য অনেক কষ্ট করেন কেউ কেউ। অনেক বিধি-নিষেধও মেনে চলেন।
ওজন কমাতে পুরনো অভ্যেস ত্যাগ করতে হয়- এমন উদাহরণও কম নয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, খাবার তালিকা সংস্কার করেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
১. গ্রিন টি:
গ্রিন টি-এর উপাদানের মধ্যে একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট; যা আমাদের শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের যত্ন, হজমশক্তি বাড়ানো এবং তারুণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গ্রিন টি। দীর্ঘ সময় কর্মক্ষম রাখতেও সাহায্য করে এটি।
২. আপেল:
আপেল নিয়ে প্রচলিত তথ্য, ‘দিনে মাত্র একটি আপেল খেলে ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না’।
ওজন কমাতেও অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে আপেল- এই বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা। একটি আপেলে ৪-৫ গ্রাম ফাইবার থাকে; যা ক্ষুধার উদ্রেক কমায়। শরীরে জমে যাওয়া ফ্যাট বা চর্বি কাটতেও সাহায্য করে আপেল।
৩. ক্যাপসিকাম:
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি খুব সহজে ও খুব দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। লাল, হলুদ কিংবা সবুজ যেকোনো ধরনের ক্যাপসিকাম খেলে ওজন কমতে বেশ সাহায্য করবে।
৪. অ্যাভোকোডা:
এই ফলে অতিরিক্ত চর্বি আছে- বলে প্রচলিত হলেও এনিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ফলটিতে প্রচুর ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। যা ওজন কমানোর সাহায্য করে। 
৫. আমন্ড:
রাতে ঘুমোনোর আগে পানিতে ২ বা ৩টা আমন্ড ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খেয়ে নেবেন। সারাদিনে খিদে পেলেও চিপসের পরিবর্তে চোখ বন্ধ করে আমন্ড বেছে নিতে পারেন। তবে ওই আখরোটের মতোই একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবেন না।
৬. ডিমের সাদা অংশ:
ডিম খেলে ওজন বাড়ে কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। বরং ওজন কমাতে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলাই ভালো। সকালে একটি/দুটি ডিমের সাদা অংশ খেলে তা অনেক সময় ধরে পেটে থাকে এবং কম ক্ষুধার উদ্রেক করে।
ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। যারা ডায়েট করেন, তারা প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খেলে পুরো দিন কাজের শক্তি পাওয়া যাবে।
৭. দারুচিনি:
মাঝে মাঝে আমরা কিছু খাবারে সামান্য চিনি দিয়ে খাবারটিকে হালকা মিষ্টি ও সুস্বাদু করার জন্য। পরবর্তীতে চিনির বদলে দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। খাবারে ভিন্ন স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি এটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৮. ওটস:
ওটস আমরা সবাই চিনি। কিন্তু খেতে খুব বেশি সুস্বাদু নয়- তাই অনেকেই এড়িয়ে চলি। সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটস খেলে ওজন খুব দ্রুত কমে যায়। ওটস হচ্ছে ওজন কমানোর খুব ভালো একটি খাদ্য উপাদান। ওটসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। ওজন সমস্যায় ভোগা সকল রোগীকে ডাক্তাররা ওটস খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
