শহিদুল ইসলাম,উখিয়া(৩০ অক্টোবর) :: ককসবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে অাসছেন বাংলাদেশ -মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির প্রতিনিধিদল।
বুধবার (৩১ অক্টোবর)দুপুরে অাসার কথা রয়েছে।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক।মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের প্রধান দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।
মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘলায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে কতটা অগ্রগতি হলো,তা পর্যালোচনার জন্য এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের দেওয়া আট হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ৪ হাজার ৬০০ জনকে শনাক্ত করতে আট মাসের বেশি সময় নিয়েছে মিয়ানমার।পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সুত্রে জানা গেছে গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারকে ৮ হাজার ৩২ রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়।
এ পর্যন্ত ১৯ দফায় ৪ হাজার ৬০০ জনকে ফেরানোর বিষয়ে মিয়ানমার সম্মতি জানিয়েছে। তালিকায় থাকা ৮ হাজারের মধ্যে ৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে যাচাই-বাছাই করেছে দেশটি। নানা অজুহাতে মিয়ানমার অন্তত দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি নয়। এদের মধ্যে অন্তত ৫২ জনকে সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করেছে মিয়ানমার।
জানা গেছে, মিয়ানমার বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছে, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে তারা তৈরি আছে। কিন্তু বাংলাদেশের আগ্রহের অভাবে তাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার কী কী করেছে, বাংলাদেশ তা স্পষ্টভাবেই দেশটির কাছে জানতে চাইবে। বিশেষ করে শুধু ঘরবাড়িই নয়, পুনর্বাসনসহ রোহিঙ্গাদের রাখাইনে স্থায়ীভাবে রাখার উপযোগী পরিবেশের স্বার্থে মিয়ানমার কী করেছে, বাংলাদেশ তা জানতে চাইবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য গত বছরের ২৩ নভেম্বর নেপিডোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারে স্টেটকাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ে চুক্তি সই করেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু করলে পরবর্তী কয়েক মাসে অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে রোহিঙ্গাদের ওপর আরেক দফা নৃশংসতা শুরু করলে অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
Posted ৬:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta