মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(৩ ডিসেম্বর) :: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও উগ্রপন্থি সশস্ত্র রাখাইন জনগোষ্টির জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে এসে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ৭লাখ ৩৮হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
শাপলাপুরের নতুন রোহিঙ্গা না থাকায় নিবন্ধন কার্যক্রমে দায়িত্বরত বুথটি উনচিপ্রাংয়ে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। নিবন্ধনে পুরাতন রোহিঙ্গারাও অংশ গ্রহন করায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা অনুমাণের চাইতে বেড়েছে বলে স্বীকার করে নিবন্ধন সংশ্লিষ্ঠরা জানান, চলতি মাসে রোহিঙ্গা নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার হবে।
নিবন্ধন কার্যক্রমে দায়িত্বরত বাংলাদেশ পার্সপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিকে রোহিঙ্গারা নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশ করতে গড়িমষি শুরু করে যার ফলে নিবন্ধন কার্যক্রমে তেমন কোন ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীরা সদস্যরা নিবন্ধন কার্ড ছাড়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ বন্ধ রাখায় রোহিঙ্গারা বাধ্য হয়ে নিবন্ধন করতে আগ্রহী হয়ে উঠে। উখিয়া-টেকনাফে ৭টি বুথে দিনরাত সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিশ্রম করে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের পাশাপাশি কার্ড বিতরণ অব্যাহত রাখায় রবিবার পর্যন্ত ৭লাখ ৩৮হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে।
নতুন রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি পুরাতন রোহিঙ্গারা অর্থাৎ ৯২সাল থেকে এখানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও গোপনে নিবন্ধন করেছে। যার ফলে পালিয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা তুলনা মূলক বেড়েছে। তিনি বলেন, চলতি মাসেই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তীতে নতুন ভাবে রোহিঙ্গা আসলে তাদের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ওই কর্মকর্তা তাদেরকেও নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।
পার্সপোট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরো জানান, টেকনাফের শাপলাপুরে অবস্থানরত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে। তাই শাপলাপুরের নিবন্ধন বুথটি উনচিপ্রাংয়ে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
Posted ৪:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta