কক্সবাংলা রিপোর্ট(১১ এপ্রিল) :: মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খোঁজখবর নিতে প্রথমবারের মতো উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন দেশটির সমাজকল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ড. উইন মায়াত আয়ে।
বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে দেশটির ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলসহ ১৮ জন নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। সেখান থেকে সড়ক পথে বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রতিনিধিদল নিয়ে উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন ড. উইন।
সেখানে তিনি পৌঁছে ক্যাম্পের ৫নং শেট পরিদর্শন করেন এবং কিছু রোহিঙ্গাদের সাথে খোলামেলা অলোচনা করেন।এসময় তিনি আগত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
।এসময় তিনি জানান,রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে এবং দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে ।আর আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে রাখাইনে ফেরত নেয়া হবে। সেখানে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রে পূণর্বাসন করা হবে এবং আস্তে আস্তে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
এরপর দুপুর ১টায় পুনর্বাসনমন্ত্রী ড. উইন মায়াত আয়ে সহ প্রতিনিধিদলটি কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়েন। তবে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্থান পরিদর্শনের কথা থাকলেও সেখানে না গিয়ে সরাসরি হোটেলে চলে যান।
বিকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ড. উইন মায়াত আয়ে’র।
উল্লেখ্য বেশ কয়েকটি পুলিশি চেকপোস্টে হামলার জেরে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানে নামে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা। তারা রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। হত্যা করা হয় শত শত রোহিঙ্গাকে। ধর্ষণের শিকার হন বহু রোহিঙ্গা নারী।
নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশমুখী ঢল নামে লাখ লাখ রোহিঙ্গার, যে সংখ্যা সাত লাখের মতো।
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে যায় মিয়ানমার। পরে তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের একটি চুক্তি সই হয়।
প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য আট হাজার ৩২ জনের একটি তালিকাও দেয়া হয়েছিল মিয়ানমারকে। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ৩৭৪ জনকে রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলেছে।
Posted ৩:৪৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta