কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৭ সেপ্টেম্বর) :: কক্সবাজারে উখিয়ার কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্রের পাশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিজ জনগোষ্ঠীর মানুষের গণপিটুনির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক রোহিঙ্গা তরুণ। শনিবার রাতে আশ্রয়প্রার্থী তরুণকে ছেলেধরা সন্দেহে বেদম মারধর করে উত্তেজিত জনতা। পরে তার মৃত্যু হয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ট্যাবলয়েড দ্য সানের এক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে সেই হত্যাকাণ্ডের কথা। প্রকাশিত হয়েছে, গণপিটুনির সময়কার কয়েকটি ছবি।
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েকজন তরুণসহ ২০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষ সন্দেহভাজন ওই ছেলেধরার ওপর আক্রমণ চালায় এবং তাকে পেটাতে শুরু করে।
ছবিতে দেখা যায় পিটুনির এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন তাকে লাথি মারতে থাকে উত্তেজিত জনতা। প্রাণভিক্ষা চাইলে ওই সন্দেহভাজন ছেলেধরাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়। দ্য সান জানায়, শেষ ছবিতে দেখা গেছে ওই ব্যক্তির মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে এবং লোকজন তা ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।
উল্লেখ্য, ত্রাণকর্মীদেরকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ শনিবারের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবিক বিপর্যয়ের কথা জানিয়েছে। তারা জানায়, বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য হাত পা ছড়িয়ে বেঁচে থাকার মতো অপ্রতুল স্থান আর জীবনের মৌলিক মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে মানবিক সহায়তা দানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর। শিবিরগুলোতে একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তাকে ‘শোচনীয়ভাবে অপর্যাপ্ত’ আখ্যা দিয়েছেন ত্রাণকর্মীরা। আরও বেশি করে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়েও সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাছাড়া, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে পাচারের ভীতিও আছে।
Posted ৩:৫৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta