কক্সবাংলা রিপোর্ট(২২ সেপ্টেম্বর) :: রোহিঙ্গাদের চাপে নষ্ট হতে বসেছে কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্যও। ইতোমধ্যে সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে যাওয়া মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলেছে প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবার।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, দ্রুত এদের সরিয়ে নিতে না পারলে হুমকির মুখে পড়তে পারে এখানকার পর্যটন শিল্প।
সমুদ্রের পাড় ঘেষে খুব সম্প্রতি চালু হয়েছে দেশের অন্যতম পর্যটন আর্কষন মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এই সড়কের একপাশে সাগরের পাশাপাশি অন্যপাশে আছে সবুজ পাহাড়ের সারি। ইতোমধ্যে এটি হয়ে উঠেছে ভ্রমন পিপাসুদের অন্যতম গন্তব্য।
কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকে বসতি গড়েছে এই সড়কেও। শামলাপুর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার জুড়ে সড়েকের দুইপাশে অবস্থান নিয়েছে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পরিবার। ফলে সুন্দর সড়কটি ভরে উঠছে নানা রকম আর্বজনায়।
পর্যটকদের জন্য আর্কষনীয় এই সড়কে রোহিঙ্গাদের অবস্থানকে আশংকাজনকই বলছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তবে প্রশাসন বলছে রোহিঙ্গারা সৈকত এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বালুখালী নতুন ক্যাম্পে। কয়েকদিনের মধ্যেই সকলকে সরিয়ে নেয়ার কথাও বলছে তারা।
প্রতিবছর পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেখতে কক্সবাজার আসে দেশি-বিদেশি অন্তত দশলাখ পর্যটক।
Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta