কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৭ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিমান বাহিনীর দুইটি প্রশিক্ষণ বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি প্রশিক্ষণ বিমানই বিধ্বস্ত হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে মাঝ আকাশে সংঘর্ষের পর মহেশখালীর পুটিবিলা ও ছোট মহেশখালীর লবন মাঠ এবং পানের বরজে এসে পড়ে।
খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মেডিকেল টিম,ফায়ার সার্ভিসের দল এবং পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে,দুর্ঘটনা কবলিত বিমান দুটি রাশিয়ার তৈরি ইয়াক–১৩০।প্রশিক্ষণ বিমান দুটিতে ৪ জন পাইলট ছিলেন।তবে তাদের কোন ক্ষতি হয়নি এবং তাদের অক্ষত উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এ ব্যাপারে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ৪ জন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছে।সোনাদিয়ার মগচর এলাকা থেকে তাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। বিধ্বস্থ ওই দুটি বিমানের পাইলটরা হলেন-গ্রুপ ক্যাপ্টেন শরীফ, স্কয়াড্রন লিডার মনির, উইং কমান্ডার আজিম ও উইং কামান্ডার রাজীব। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে।অনুসন্ধান কমিটির তথ্য পেলে বিস্তারিত জানানো হবে।
স্থানীয়রা জানায় বিমান দুটি লবন মাঠ এবং পানের বরজে এসে পড়ায় জীবনহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি।তবে এ দুর্ঘটনায় ৫জন আহত হয়েছে বলে মহেশখালী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত বিমান দুটি চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমানঘাটি থেকে উড্ডয়ন করার পর বিমান দুটি ওই টাওয়ারের নিয়ন্ত্রনে ছিল। কিন্তু কিছু সময় পরে বিমান দুটির সাথে রাডারের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই বিমান দুটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। উল্লেখ্য যে বিকাল ৫টার পর থেকেই কক্সবাজার বিমান বন্দরের টাওয়ারের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ এক বিকট শব্দ হয়। শব্দ শুনে আতঙ্কিত স্থানীয় লোকজন একটি বিমানকে পড়ে যেতে দেখেন। পরে হাজার হাজার লোক ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান। তাঁরা জানান, শব্দ হওয়ার পরপরই বিধ্বস্ত বিমাটিতে সাথে সাথে আগুন ধরে যায়।
তারা আরও জানান, বিধ্বস্ত বিমান দুটির একটি মহেশখালি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পুটিবিলার ইয়ার মোহাম্মদ পাড়া গ্রামের সিরাজির ঘরের পাশে বিধ্বস্ত হয়। অপর বিমানটি মহেশখালি উপজেলার ছোট মহেশখালি ইউনিয়নের লম্বাঘোনা বাজারের পাশে মাইঝপাড়া গ্রামের পানের বরজের উপর বিধ্বস্ত হয়।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধান কুমার মোহন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়।
Posted ৮:৪৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta