প্রেস বিজ্ঞপ্তি(২৮ অক্টোবর) :: ক্রাউনসিমেন্ট-প্রথম আলোর তারুণ্যের জয়োৎসবে জীবনযুদ্ধের প্রেরণা পেল ৪৫০ জন তরুণ শিক্ষার্থী। রোববার বিকালে কক্সবাজার বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই জয়োৎসব অনুষ্টিত হয়।
লেখাপড়া শেষ করে কী করবো-এনিয়ে চরম হতাশা-ভয় মনের মধ্যে কাজ করত। আজ তারুণ্যের জয়োৎসবে যোগ দিয়ে আমার সেই ভয় কেটে গেছে। দারুণ সব নির্দেশনা ও মরামর্শ পেয়ে এখন নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে-আমি সবকিছু পারবো।
জয়োৎসবে কথাগুলো তুলে ধরেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া তাবাচ্ছুম।
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাহিমা আক্তার খুশি ও সাইফুল ইসলাম বলেন, তারুণ্যের জয়োৎসবে এসে পরিবর্তনের ডাক পেলাম। আগে আমরা হতাশায় ডুবে থাকতাম। এখন জেগে ওঠার সাহস পেলাম। এখন অলস বসে থেকে জীবন গড়ার চেষ্টা করবো।
স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলো যুব উন্নয়ন কর্মসূচির সমন্বয়কারী মুনির হাসান জয়োৎসবের লক্ষ-উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশের তরুণরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজটাকে ছোট করে দেখে। একারণে পড়াশোনা শেষ করেও তরুণদের বিশাল একটি অংশ বেকার থেকে যাচ্ছে। যেকোন কাজকে ছোট করে দেখার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর না হয়ে নিজের পছন্দের কাজটাকে নিয়ে এগুলে সেখানেও সফলতা আসবে।
প্যানেল আলোচনায় করপোরেট ট্রেনার গোলাম সামদানী ডন ও তুরঙ্গমী নৃত্যদলের পরিচালক পূজা সেনগুপ্ত তরুণদের জীবন ও ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।তাঁরা তরুণদের অলস বসে না থেকে জীবনগড়ার কাজে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানান।
বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ও লক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, যেটা পারো সেটা বেশি বেশি করে করো। তাহলে সফলতা ধরা দেবে। বর্তমান প্রতিযোগিতাপুর্ন বিশ্বে টিকে থাকতে হলে নিরলস কাজ করতে হবে। তাহলেই সাজাতে পারবে নিজের পৃথিবী।
সমাপনী বক্তব্যে প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান আব্দুল কুদ্দুস রানা তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের কোনো শেষ নাই, জানারও কোনো শেষ নাই। যেটাই করি-প্রবল ইচ্ছা শক্তি দিয়ে করতে হবে। তাহলে কোন কিছুতেই ব্যর্থ হবে না মানুষ ।
অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল বন্ধুসভার সদস্যরা।
Posted ১১:১০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta