বিশেষ প্রতিবেদক(১৪ সেপ্টেম্বর) :: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ত্রাণদলের নেতারা। তবে তাঁরা ত্রাণ নিয়ে যাননি সেখানে। দলের নেতাদের অভিযোগ, পুলিশি বাধার কারণে তাঁরা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে পারেননি।
রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ত্রাণবাহী কয়েকটি ট্রাক বৃহস্পতিবার সকালেও কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সমানে দাঁড়িয়ে ছিল। দুপুরের সব ট্রাক থেকে ত্রাণ নামিয়ে জেলা কার্যালয়ে মজুত করা হয়।
ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পানির বোতল, লবণ, চিড়া, বিস্কুটসহ বিভিন্ন পণ্য। এর আগে গত বুধবার বিকেলে বিএনপির ত্রাণবাহী ট্রাক পুলিশের বাধার কারণে উখিয়ায় যেতে পারেনি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নেতারা।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, প্রায় ৯ হাজার রোহিঙ্গার জন্য ২২টি ট্রাক ত্রাণ আনা হয়েছিল। বিতরণ সম্ভব না হওয়ায় তা কার্যালয়ে রেখে দিয়েছেন তাঁরা।
এই ত্রাণ কবে বিতরণ করা হবে বা ত্রাণ বিতরণ নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত কী তা জানতে চাইলে কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে গতকাল বেলা ১১টায় বিএনপির নেতারা প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে যান। সেখানে তাঁরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর উখিয়াঘাট এলাকার বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্প্রচার উপকেন্দ্রের বিপরীতে রোহিঙ্গা শিবির, বালুখালী, টেকনাফের হোয়াইক্যং, লেদাসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন মীর্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, শামসুজ্জামান, মাহবুবুর রহমান, শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। অথচ পুলিশি বাধার কারণে বিএনপির ত্রাণ গুদামে রাখতে হয়েছে।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, ইচ্ছা করলে যেকেউ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে পারছে না। হুড়োহুড়ি করে ত্রাণ নিতে এসে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কোথায় এবং কী ত্রাণ বিতরণ করা হবে, তা আগে জেলা প্রশাসনকে জানাতে হয়। পরে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় তা জমা দিতে হয়। তারপর সেই ত্রাণ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ পর্যন্ত তাই হয়ে আসছে। বিএনপিকেও তাই করতে হবে। তবে ত্রাণ বিতরণের সময় তাঁদের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবেন।
Posted ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta