কক্সবাংলা রিপোর্ট(২২ নভেম্বর) :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরনার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা যাতে নির্বাচনি প্রচারণা কিংবা অন্য কোনও কর্মাকাণ্ডে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যাপারে বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও মাঠ-পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জানতে চাইলে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মাদ আবুল কালাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে। আমরা আগে ও নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করবো।’ রোহিঙ্গারা যেন প্রচারণা বা অন্য কোনও কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে না পারে, তার বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে বলে তিনি জানান।
প্রত্যাবাসন লিস্টে ৪৮৫ পরিবারের সাক্ষাৎকার পুনরায় গ্রহণ করা শুরু হবে কিনা, জানতে চাইলে মোহাম্মাদ আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছি। যথাসময়ে এটি শুরু হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত ১৫ নভেম্বর সেটি সারা বিশ্ব দেখেছে।’
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইতোমধ্যে ৪৮৫টি পরিবারের মধ্যে ৬৭ পরিবারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। কেউই তাদের নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি নয়।
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ৬৭টি পরিবারের সাক্ষাৎকারের সময়ে সরকারের কোনও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিল না কিন্তু এবারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবার উপস্থিতিতে এই সাক্ষাৎকার হবে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে মনোভাব কী এবং সাক্ষাৎকারের সময়ে তাদের কী তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়টি সরকারের জানার প্রয়োজন আছে। সে কারণে আমাদের কর্মকর্তারা এবার এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
Posted ২:০৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta