কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৩ ফেব্রুয়ারী) :: আরব ব্যবসয়ী ও ধর্ম প্রচারকগণ ৮ম শতকে চট্টগ্রাম ও আকিয়াব বন্দরে আগমন করেন। এই দুই বন্দরের মধ্যবর্তী হওয়ায় কক্সবাজার এলাকা আরবদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে।
নবম শতাব্দীতে কক্সবাজার সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম হরিকেলার রাজা কান্তিদেব দ্বারা শাসিত হয়। ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজা সুলাত ইঙ্গ চট্টগ্রাম দখল করে নেবার পর থেকে কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অংশ হয়।
১৭৮৪ সালে রার্মারাজ বোধাপায়া আরাকান দখল করে নেয়। ১৭৯৯ সালে বার্মারাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রায় ১৩ হাজার আরাকনি কক্সবাজার থেকে পালিয়ে যায়। এদর পূনর্বাসন করার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একজন হিরাম কক্সকে নিয়োগ করে।
আর কক্সাবাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চাষিদের মাঝে জমি বিতরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে চট্টগ্রাম ও আরাকানের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ এই এলাকায় আসতে শুরু করে।
পূনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবার পূর্বেই হিরাম কক্স মৃত্যু বরণ করেন। পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তাঁর অবদানের জন্য কক্স-বাজার নামক একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কক্স-বাজার থেকে কক্সবাজার নামের উৎপত্তি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তাঁর অবদানের জন্য কক্সবাজোর জেলার নামের উৎপত্তি।
আয়তন : ২,৪৯২ বগ কিলোমিটার।
উপজেলা সমূহ : ১.কক্সবাজার সদর, ২. উখিয়া, ৩. কুতুবদিয়া, ৪. চকোরিয়া, ৫. টেকনাফ, ৬. মহেশখালী, ৭. রামু ও ৮. পেকুয়া।
চিত্তাকার্যক ও ঐতিহাসিক স্থান :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত,মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি, ইনানী সৈকত,সেন্টমার্টিন দ্বীপ,সোনাদিয়া দ্বীপ,বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, টেকনাফ জালিয়ার দ্বীপ,রামু সীমা বিহার ও একশ ফুট সিংহ গজ্জা, শাহ ওমরের সমাধি, আদিনাথ মন্দির, মাথিন কূপ, কুতুব আউলিয়ার, সমাধি, রামকোট হিন্দু মন্দির, রামকোট বুদ্ধ কেয়াং, লামার পাড়া বুদ্ধ কেয়াং, একগম্বুজ মসজিদ।
জনসংখ্যা : ২০১৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পুরুষ : ১২,২৬,২০০ মহিলা: ১২, ৮৯,৫৯৭ জন। মোট ২৫, ৫৭,৭৯৭ জন।
জেলার উল্লেখযোগ্য নদ-নদী : মাতামুহুরী, নাফ, বাকখালী, রেজু, কোহালিয়া, কচা নদী,ধলেশ্বরী।
প্রধান প্রধান উৎপাদিত পন্য : সামুদ্রিক মাছ, ধান,শুটকি,পান,সুপারি,চিংড়ি পোনা,লবন।
Posted ৯:৩৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta