হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২৯ সেপ্টেম্বর) :: কক্সবাজার জেলার কয়েকটি উপজেলার জন্য চাহিদা না থাকা সত্বেও একটি মহলের কারসাজিতে অতিরিক্ত বরাদ্ধ এনে তামাক চাষে সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
এতে সরকারের ভর্তুকী দেওয়া কোটি কোটি ক্ষতির অভিযোগ এনে তা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনও, কৃষি কর্মকর্তাদের কঠোর নজরদারী কামনা করে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন টেকনাফ উপজেলা ইউনিটের সভাপতি জালাল উদ্দিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগে জানান, সরকার কক্সবাজার জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিধি মোতাবেক পর্যাপ্ত পরিমাণ সার সরবরাহ দিয়ে আসছে।
এসব সার স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করলে অতিরিক্ত কোন সারের দরকার পড়েনা। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের ইন্দনে জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জেলা প্রশাসনের সুপারিশক্রমে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও চকরিয়ার জন্য অতিরিক্ত ননইউরিয়া (টিএসপি, ডিএপি, এমওপি) সার বরাদ্ধ নিয়ে আসে।
এরপর উক্ত সার বান্দরবানসহ বিভিন্ন এলাকার তামাক চাষীদের নিকট চড়া দামে সরবরাহ করে আসছে। এরফলে সাধারণ কৃষকদের জন্য ভর্তুকী দেওয়া কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। উক্ত বিষয়ে উপরোক্ত স্ব স্ব এলাকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি অফিসারদের সর্তক থাকার আহবান জানানো হয়।
এই ব্যাপারে জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, সারের চাহিদা মুলত উপজেলা কৃষি অফিসের চাহিদার ভিত্তিতে হয়ে থাকে। সার বরাদ্ধ, পরিবহন সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন। এতে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে আমার মনে হয় বিগত নির্বাচনে অভিযোগকারী আমার প্রতিপক্ষের হয়ে কাজ করেছিল। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এই ঘটনার আশ্রয় নিয়েছে।
Posted ১১:৪৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta