এম.এ আজিজ রাসেল(২৭ জুলাই) :: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা।
২৭ জুলাই শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার বৌদ্ধ বিহার গুলোতে ভীড় করেন পূজার্থীরা।
বিকেলে কেন্দ্রীয় মাহাসিংদোগ্রীর অগ্গমেধা, বড় ক্যাং, পিটাকেট, চেন্দামেজু, জিদারাম ও মোহাজের পাড়া বিহার ঘুরে দেখা যায়, টানা তিন মাস বর্ষাবাসের ব্রতের প্রত্যয় নিয়ে আবাল বৃদ্ধা-বণিতা ধর্মীয় পোশাক পরিধান করে বিহারে আসে। সকলে একে অপরের সাথে কৌশল বিনিময় করেন। অনেকেই গ্রহণ করেন পবিত্র অষ্টশীল।
ধর্মীয় গুরুরা আষাঢ়ী পূর্ণিমার গুরুত্ব নিয়ে বিশদ আলোকপাত করেন। পরে সেখানে দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। এসময় ছোট-বড় সকলের উৎসবমূখর পদভারে বিহার প্রাঙ্গণ মিলনমেলায় পরিণত হয়।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সাট্রাক্টর উ থেন য়েইন বলেন, আষাঢ়ি পূর্ণিমার তাৎপর্য তথাগত বুদ্ধের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে। তাই বৌদ্ধদের কাছে পূর্ণিমা আসে জীবনে পূর্ণতা সাধনের জন্য। শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের কাছে অতি পুণ্যময় তিথি।
এইদিন থেকে বৌদ্ধদের আত্মশুদ্ধি, ধ্যানসাধনা, সংযম ও বিনয় শিক্ষার ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শুরু। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই তিনমাস বিশেষ করে পূর্ণিমা, অমাবশ্যা ও অষ্টমী তিথিতে বৌদ্ধরা আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে ধ্যান-সাধনা, সংযম ও বিনয় শিক্ষার মাধ্যমে বিশুদ্ধ জীবন পালন করে।
তাছাড়া হত্যা, চুরি, মিথ্যাভাষন, ব্যভিচার ও মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থেকে ব্রহ্মচর্য জীবন পালনে শিক্ষা গ্রহণ করে।
রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, স্মৃতি বিজড়িত শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে শুরু হওয়া বর্ষাব্রত আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথিতে সমাপ্ত হয়। দীর্ঘ তিনমাস ব্যাপী দান, শীল এবং ভাবনা নিবিড়ভাবে অনুশীলনের এক সুবর্ণ সুযোগ।
বৌদ্ধরা এসময়ে লাভ করে থাকেন। সকলের উচিত এ সুযোগকে কাজে লাগানো। জেলার রামু, উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় যথাযথ ভাবে পালন হয়েছে শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা।
ফ্রি স্টাইল রিলেশনের উথি উ, বাওয়ান, মং হ্লা ওয়ান, উসেনমি বাবু, ক্যওয়ান, মংছওয়ান বাবু, জনি, বুটেং, মং থেন নাই, ছলাইন, থেন থেন নাই, মংবাসেন, বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট কাউন্সিলের জ জ, জ জ ইয়ুদি, হাপু, মংসিয়ে, চ লাইন, রাখাইন তরুণ প্রজন্ম ঐক্য পরিষদের জহিন, ওয়ানশে, কিংজ, ববি ও জওয়ান জানান, আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ দিনে আমরা তিনমাস ব্যাপী বর্ষাবাসের শুভ সূচনা করি। বর্ষা বাস চলাকালে পরস্পরের প্রতি মন্দ কাজ পরিহার করে ভাল কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা যোগায়। এ মাসে আমাদের নিয়মিত ধর্মকাজে উৎসাহ বাড়ে।
Posted ১১:০৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta