সোমবার ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

সোমবার ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কক্সবাজার পিটিআই এর ইন্সট্রাক্টর গোলাম নাজের স্যারের জীবন ও কর্ম

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯
182 ভিউ
কক্সবাজার পিটিআই এর ইন্সট্রাক্টর গোলাম নাজের স্যারের জীবন ও কর্ম

এম.এরশাদুর রহমান(৩ ডিসেম্বর) :: আমার দেখা জ্ঞানী গুণী মানুষের মধ্যে একজন হলেন কক্সবাজার পিটিআই এর ইন্সট্রাক্টর(সাধারণ)জনার গোলাম নাজের স্যার ।একজন মানুষের ভেতরে এতএত প্রতিভা লুকিয়ে আছে তা নাজের স্যারকে না দেখলে বুঝা যাবেনা ।জীবনের শুরু থেকে চাকরির শেষ অবধি তিনি ছিলেন সৎ পরোপকারি ও মহৎ।যারা বিদ্যাদান করেন তারাই অমর থাকেন সেই জন্যে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেঁেচ নিয়েছিলেন।আজ আপনাদের সামনে ওনার জীবন নিয়ে আলোচনা করব।

পরিচিতি

নামঃ মুহাম্মদ গোলাম নাজের
পিতাঃ মরহুম নজির আহম্মদ
মাতাঃ মরহুমা চেমন খাতুন
জন্ম তারিখঃ২৯/১১/১৯৬০
জন্মস্থানঃ দিগরপানখালী, উপজেলাঃ চকরিয়া, জেলাঃ কক্সবাজার।

পড়ালেখাঃ

প্রাথমিকঃ দিগরপানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ১৯৭০ সালে ৫ম শ্রেণী,
এস.এস.সি ঃ চকরিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে১৯৭৬ সালে,
এইচ,এস.সি চকরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে,
বি,এ ,কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে,
বি,এড ১৯৮৬সালে চট্ট্রগ্রাম টির্চাস ট্রেনিং কলেজ থেকে,
ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনএন্ডসার্জারী ১৯৮৮সালে ডাঃ জাকির হোছাইন হোমিওকলেজ হাসপাতাল ,চট্টগ্রাম থেকে,
এম,এড বাওবি -থেকে ২০১৭সালে।

প্রশিক্ষণঃ

কাপলিডার বেসিক ট্রেনিংকোর্স,
বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ,পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ,
কক্সবাজার হেলদি টাউন প্রশিক্ষণ,কারিকুলাম এর উপর প্রশিক্ষণ,রুম টু রিড এর একজন সফল প্রশিক্ষক ও ছিলেন।
জীবনে তিনি অনেক প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং বিবিধ বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়েছেন।

শিক্ষকতাকে মহান পেশা হিসেবে গ্রহণঃ

তিনি জীবনকে সাঁজাবার জন্যে শিক্ষকতাকে মহান পেশা হিসেবে বেঁচে নেন। জীবনের শুরু থেকে তিনি শিক্ষকতা পেশাকে লালন করে আসছেন।তাই তিনি যেখানে পেয়েছেন শিক্ষকতাকে গ্রহণ করেছেন।
এইচ,এসসি পাশের পর তিনমাস যে অবসর থাকে তাতে তিনি নিজেদের এলাকার স্কুলে ক্লাস নিতেন।
এইভাবে নিজের এলাকার দিগর পানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতা দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন।
চট্রগ্রাম এমইএস উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮- ৯মাস ১০দিন শিক্ষকতা করেন।
চট্রগ্রামের একটি নামকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৭সালের অক্টোবর থেকে ১৯৮৯ এর আগস্ট পর্যন্ত দুই বছর শিক্ষকতা করেন।
এর পর কক্সবাজার পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ সালে যোগদান করেন।
১০ জানুয়ারী ২০০৯ সালে ইন্সট্্রাক্টর সংযুক্তি পদে পদায়ন হন এর পর ১৪ মার্চ২০১৩ সালে ইন্সট্্রাক্টর(সাধারণ) অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীর গেজেটেট কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান।এবং চাকরির শেষ কর্মদিবস ২৮নভেম্ব ও ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঐ পদে আসীন ছিলেন।ওনি জীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষকতা দিয়ে জীবন সমাপ্তি টেনেছেন শিক্ষকতায়।তা আবার শিক্ষকদের শিক্ষক পদে।

কক্সবাজার পিটিআইতে তিনি সবার প্রিয় শিক্ষক ছিলেনঃ

আমার কাছে সবার কাছে যে মানুষটি কাজের
কক্সবাজার পিটিআইএর স্যার গোলাম নাজের ।
১৩ উদ্দেশ্যের মধ্যে ৯টি শুধুই বাওবির।
নাজের স্যার তা পড়ান বলে উচু থাকে সদাশীর।
বারো বই এর বারো বাণীমোট ছয়কম দেড়শত,
গোলাম নাজের স্যার ছিলেন সবার মনের মত।
নাজের স্যার বাওবি,বাওবিও নাজের স্যার,
জ্ঞানের সাগরে যেন সবাই দিচ্ছি সাতাঁর।
বই পড় বই পড় নাজের স্যারের বাণী,
ক্লাসে আসলে তিনি মুছে যায় সব গ্লানি।

পরিবারঃ

১৬আগস্ট ১৯৯০সালে প্রবীণ আলেমেদ্বীন হয়রত মাওলানা আবুতাহের সাহেবের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া মুক্তাকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেন।
ওনাদের ছন্দময় ২ ছেলে ,২ মেয়ে।
১. জান্নাতুল নাজেরিন রুবাইয়াত
এমবিবিএস পাশ করে,সিসিডিএম প্রশিক্ষণে আছেন ঢাকায়।
২.আ,ন,ম,রিসালাত আলিফ , ফিশারিজএন্ড মেরিন সাইন্স বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেছে,
৩. জান্নাতুন নাওরিন রওনক
৪. আ,ন,ম,রেফায়েত আফিফ, পড়ালেখায় আছে।
আ-তে আবু ,
ন-তে নজির,
ম-তে মুহাম্মদ।

নাজের স্যারের জীবনের বিভিন্ন দিক

১০বছর লজিন ছিলেনঃ

তাঁর জীবনের দশটি সোনালী বসন্ত লজিন বাড়ীতে অবস্থান করে কাটিয়ে দিয়েছেন।
পড়িয়েছেন তাদের কে বিবিধ বিষয়,অর্থাৎ আরবী থেকে শুরু করে সব বিষয়।এই জন্যে পরের ঘরে তিনি আদর পেতেন বেশি।
লজিন মানে পরের ঘর ,নয়ত নিজের বাড়ি।
পড়ালেখার স্বার্থে থাকতে হয় আপন ছাড়ি।
আর খাবারের প্লেটে উঠত বাড়ীর সব ভালো খাবার।
ঘরের আদর তিনি বাইরে পেতেনতার মধুর ব্যাবহারের কারণে।সুন্দর চরিত্র ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি লজিন বাড়ীর সবার মন জয় করেছিলন।

কথা দিয়ে কথা রাখাঃ

তিনি সব সময় কথা দিয়ে কথা রাখতেন কারণ তিনি ভাবতেন কথা দিয়ে কথা রাখার মধ্যেই সফলতা নিহিত রয়েছে।তিনি বলেন যারা কথা দিয়ে কথা রাখেনা তারা মানুষের পর্যায়ে পড়েনা।
কথা দিয়ে কথা রাখতে গিয়ে তিনি প্রয়োজনে অনেক কষ্ট করবেন তবু তিনি কথা দিয়ে কথা রাখবেন।

মানুষের মনে কখনো কষ্ট দেননিঃ

তিনি তাঁর জীবনে কখনো কোন মানুষের মনে কষ্ট দেননি।তিনি তার মুখ এবং হাত কে হেফাযত করতেন সব সময় মানুষ যেন কষ্ট না পাই সেই বিষয়ে তিনি চিন্তা করতেন।
মানুষের মনে কষ্ট দিলে কাবা ভেঙে যায় সেটা তার জানা আছে।তিনি বিশ্বাস করেন যারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে ক্ষমা না চাই তাদেরকে বিধাতা ও ক্ষমা করবেন না।

সব সময় আল্লাহর প্রশংসা করেনঃ

পুর্ব দিকে সূর্য উঠেছে,সুন্দর ফুল ফুটেছে।নতুন একটি দিনে হয়েছে,সেই দিন শুধুই আমার জন্য ।আমি এই সুন্দর দিনে বেঁচে আমি সুস্থ সুন্দরভাবে এই হল আমার সফলতা।নাজের স্যার সবসময় এনভাবনাটুকু করতেনভাবনায় পড়ে আল্লাহর প্রশংসা করেন সবসময়।

ফজরের আজানে ঘুম ভাঙে :

তিনি প্রতিদিন ফজরের আজানের সময় উঠে যান ।মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সহিত ফজএর নামাজ আদায় করেন।এর পরে শুরু করেন দিনের বিবিধ কাজ।তিনি কখনো কাজ কে অবহেলা করেননি।যে দার্য়িত্ব তার উপর অর্পিত হয়েছে সে দার্য়িত্ব তিনি আন্তরিকতার সহিত পালন করেছেন।

বাবার মৃত্যুতে তিনি একা হয়ে যানঃ

১৯৯৩সালের ১আগস্ট ওনার পিতা দুনিয়া ছেড়ে কবররাজ্যের বাসিন্দা হলে তাতে তিনি খুব কষ্ট পান এবং একা হয়ে যান।

আম্মার সমাধি রচনাঃ

২০১০সালের ২০র্মাচ তিনি তার ঁসবচেয়ে কাছের প্রিয় জন গর্ভধারণকারী আম্মাজানকে হারান।
মা মানেই ভালোবাসা,মা মানেই সুখের হাসি
এই দুনিয়ার কাউকেও নয়মাকে ভালোবাসি।

মাঝখানে ২বছর পটিয়ায়ঃ

তিনি ১৯৯৭-১৯৯৮সালে পটিয়া পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে ছিলেন।
সেখানেঅনেকের সাথে পরিচয় হয়েছেন।আলো ছড়িয়েছেন।

লাইব্রেরীতে দার্য়িত্ব পালনঃ

তিনি কক্সবাজার পিটিআইতে থাকাকালে লাইব্রেরীয়ানের দার্য়িত্ব পালন করেছেন তাতেও তিনি প্রচুর বই পড়ার সুয়োগ পেয়েছেন।

লেখালেখিঃ

তিনি ছোটকাল থেকে লেখালেখে করতেন।১৯৮১সালে ডিগ্রী পরীক্ষা দেওয়ার পর ১৯৮২সাল থেকে তিনি চট্রগ্রাম শহরে চলে যান ।
১৯৮৩ সালে দৈনিক সেবক ,দৈনিক পিপলস ভিউতে রিপোটার হিসেবে যোগদান করেন।
দৈনিক আজাদী,দৈনিক পূর্বকোণ,দৈনিক নয়াবাংলা,দৈনিক সেবক,সাপ্তাহিক সমতা,লোকাল পত্রিকা দৈনিক কক্সবাজার,দৈনিক দেশবিদেশ,দৈনিকসৈকত,দৈনিক হিমছড়ি,সাপ্তাহিক কক্সবাজারবার্তা পত্রিকায় বিভিন্ন বিষয়ে বিষয় ভিত্তিক প্রবন্ধ লিখতেন।বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তিনি লিখতেন।জাতী সংঘের প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে ২৪অক্টোবর স্যারের লেখা ছাপাতেন।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী সহ তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাহিত্য সংস্কুতিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন।

অভিনয়ঃ

ছাত্র জীবনে তিনি বিভিন্ন নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনতার মধ্যে উল্লেখযোগ্যহল
রুপবান যাত্রা,সফরমুলুকবদিউজ্জামান,আলোমতিপ্রেম কুমার,লাশ৭৪,ও ঐতিহাসিক নাটক কহিনূর ,আরো ছোট বড় অনেক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন ।
তিনি একজন ক্বারীও তিনি ক্বারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
তিনি গান গাইতেও শোনতে পছন্দ করেন।
তবে ইসলামী গান তিনি বেশি শোনেন।
হামদ,নাতে রাসুল,নজরুল সংগীত,রবীন্দ্র সংগীত,আধুনিক গান তিনি গাইতে পারেন।
অবসর সময়ে তিনি পত্রিকার উপসম্পাদকীয় পড়েনএবং মহৎমানষের জীবনী পড়তে ভালোবাসেন।

মুক্তিযুদ্ধে তাঁর পরিবারের ভুমিকাঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ও তাঁর বড় ভাই মাস্টার গোলাম কাদের ৮জন হিন্দু রমণীকে তাদের পরিবারে আশ্রয় দেন।
রাজাকার বাহিনী তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় তাদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়।

ছাপার অক্ষরে লেখক হিসেবে নিজের নামঃ

তিনি খুব ছোট কাল থেকে সৃজনশীল লিখনি লিখতে শুরু করেন।লিখতে লিখতে তাঁর বহু পান্ডুলিপি জমা হয়েছে।তিনি ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতায় যখন ছাপার অক্ষরে নিজের নাম খানা দেখেন তখন নিজেকে ধন্য মনে করেন।নিজেকে সার্থক মনে করেন।

খেলাধুলাঃ

তিনি সব রকমের খেলা খেলতেন তবে সবচেয়ে তাঁর প্রিয় খেলা হল ভলিবলখেলা। তিনি চট্টগ্রাম বিএড কলেজে পড়াকালীন সময়ে ওনার দল রানাসআপ পেয়েছিল।তিনি সময় পেলে এখনো খেলতে চেস্টা করেন।

কবিতা চর্চাঃ

কাগজে কলম স্পর্শ করলেই কি কবিতা হয়? কবিতার জন্যে উপাদান লাগে ভালোবাসা লাগে একটি সুন্দর সুষমা মন লাগে,তোমার আমার প্রেমময় দৃষ্টিটুকুন লাগে।সর্বোপরি বিধাতার সু দৃষ্টিও লাগে।তিনি হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে কবিতা চর্চা করতেন পত্রিকার সাহিত্য পাতায় তাঁর কবিতা স্থান পেত এবং প্রশংসা পেতেন তিনি।তাঁর কবিতায় বিপ্লবের আভাস পাওয়া যায় একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তিনি।তার লিখনি দিয়ে তিনি একটি আলোকিত সমাজ উপহার দিতে চান।

সবাই তাকে ভালোবাসেনঃ

২০১৯-২০২০সালে যখন আমরা পিটিআই কক্সবাজারে ডিপিএড কোর্সে ভর্তি হলাম তখন স্যারকে খুব কাছথেকে দেখেছি যে তিনি এক জন মহৎমানুষ ।তাকে সবাই ভালোবাসেন।শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।তাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করেন।

সহজ-সরল এক নিবেদিত শিক্ষকঃ

তিনি জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতার পেশায় ছিলেন ওনার জীবন পর্য়ালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই তিনি ছিলেন একজন সহজ-সরল এক নিবেদিত শিক্ষক।

বই এর স্বাদ ই আদালাঃ

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবহাওয়ায় বিবিধ জায়গায় নাজের স্যার নতুন নতুন ফল খাবারের রূপ রস বিভিন্ন তরকারি মাছ মাংস,দুধ দধি গস্খহণ করেছেন স্বাদ নিয়েছেন তা যখন খায় তখন মজা লাগে স্বাদ স্থায়ী হয়না একটু পরেই তা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বই এর স্বাদ আলাদা একস্বাদ যা জীবনব্যাপী থাকে।এই জন্যে তিনি বইএর সাথে সংসার করেন।বই ভাই এর চেয়ে বেশি,তার সাথে হয়না রেশারেশি।

তিনি একজন ধার্মিক মানুষঃ

ধর্ম তাঁর কর্ম বুঝি
ধর্মই তাঁর মুল।
ধর্ম হতে নড়তে
পারেন না এক চুল।
তিনি প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে পাঁচওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সহিত আদায় করেন।এবং নিয়মিত পবিত্র কুরআন হাদিস ইসলামি সাহিত্য পড়েন।

একজন আদর্শবান শিক্ষকঃ

তিনি একজন আদর্শ বান শিক্ষক তিনি ক্লাসে বেশিভাগ আদর্শের কথা বলেন।মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করতে বলেন।পড়ালেখা ছাড়া কোন মানুষ এই দুনিয়ায় বড় হতে পারেনি।

সবাইকে সমান চোখে দেখেনঃ

তিনি সবাইকে তার সমান চোখে দেখেন ।তিনি সমসময় এশটিই উদাহরণ দেন যে হাজম এর কথা ,হাজম কে সালামদিলেও এক সমান কাটবে।না দিলেও একসমান কাটবে।

একজন স্মৃতিকাতর মানুষঃ

তিনি একজন স্মৃতি কাতর মানুষ ।স্মৃতিকে সব সময় তিনি ধরে রাখেন।স্মৃতিকে ভালোবাসেন।সবকিছু সুন্দর করে সাজিঁয়ে রাখেন তিনি কারণ এই সব দিন রাত চলাফেরা সবসময় স্মৃতি হয়ে থাকবে ।

তিনি একজন রসিক মানুষঃ

তিনি একজন রসিক মানুষ মাঝে মাঝে তিনি মজা করেন।কারণ মজা না করলে জীবন সুন্দর হয়না ।জীবনকে সাজাতে হলে মাঝে মাঝে রস করতে হয় না হলে অসুস্থ হয়ে যাবেন।তিনি রস করেন বলেই অসুখ তাকে পেয়ে বসেনা ।সব সময় হাসি খুশিতে থাকতে তিনি পছন্দ করেন।

একজন পড়–য়াও গবেষকঃ

তিনি শুধুই একজন শিক্ষক নন তিনি একজন পড়–য়াও গবেষকও তিনি বিবিধ বিষয়ে গবেষণা করেন।

জ্ঞানী মানুষরাই বিনয়ী হনঃ

তিনি জ্ঞানী বলেই তিনি সব সময় বিনয়ী ।তাকে কখনো অন্যায় করতে দেখিনি তিনি সব সময় কল্যাণের পথে হেটেছেন।সবাইকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতাঃ
নাজের স্যারের কাছে ছোট বড় ধনীগরীব শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাইকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা আছে, সবাইকে সমান ভালোবাসার ক্ষমতাও আছে।

আনন্দঘন পরিবেশে পাঠ দানঃ

তিনি আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান করতে খুব ভালোবাসেন।
কারণ পড়ায় আনন্দ পেতে হবে যদি আনন্দ পাওয়া না যায় তাইলে সে পড়ালেখায় মনোযোগী হবেনা।

সব কিছুকে ঘুচিয়ে রাখেনঃতিনি তাঁর সমস্ত কাজকে ঘুচিয়ে রাখেন।তাঁর জীবন সাজাঁনো ।

তিনি একজন সুন্দর মনের মানুষঃ

গোলাম নাজের স্যার একজন সুন্দর মনের মানুষ ।তিনি সুন্দরকে ভালোবাসেন সত্যকে ভালোবাসেন।সত্যের পক্ষে কলম ধরেন।
তিনি তাঁর ছাত্র ছাত্রীকে আপন সন্তানের মত দেখেন।তাদেরকে আপন সন্তানের মত স্নেহ করেন।
বিষয় ভিক্তিক আলোচনাঃতিনি যে কোন বিষয়ে বিষয় ভিক্তিক আলোচনা করতে পারেন।

তিনি একজন মিশুক মানুষঃ

তিনি সবার সাথে মিশে থাকতে ভালোবাসেন।মিলে মিশে থাকাতে তিনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন।
তিনি মানুষ দেখলে তাঁর গতি প্রকৃতি ন্যাচার বলে দিতে পারেন।
তিনি কখনো সত্য থেকে পিছ পা হবেন না, প্রলোভনে পা দেবেন না ,তিনি এক কথার মানুষ।
কারো অন্যায় অবদার তিনি রক্ষা করেন না।তিনি সব সময় দ্বীনের পথে চলতে চান।অশ্লীল বেহায়াপনাকে তিনি পশ্রয় দেন না ।তাকে দিয়ে অন্যায় কোন কাজ কখনো করানো যাবেনা।তিনি একজন সত্যের কলম সৈনিক।
২০১৯সালের ,নভেম্বরের ৩০তারিখ,স্যার এর সাথে একান্ত আলাপে বসেছিলাম তিনি তাঁর কিছু কথা আমাকে বলেছেন তা হল
তিনি অবসরে নিয়মিত পড়বেন,লিখবেন বিবিধ বিষয়ে।
তিনি যেহেতু ৪বছর মেয়াদি হোমিওপ্যাথিক পড়েছেন মন চাইলে ঐ পেশাটাকে বেঁেচ নিতে পারেন মানুষের সেবা করতে পারেন।
তবে তাঁর লিখনি হবে সত্যের পক্ষে।জীবনে কাজে লাগে এমন লিখা তিনি লিখবেন।তিনি আমকে বলে দিয়েছেন কারো অন্যায় আবদার তিনি রক্ষা করবেন না।অন্যায়কে তিনি সব সময় না বলবেন।

তিনি মুসলিম হয়ে মরতে চান আল্লাহ পাকের কাছে ভালো মানুষ হয়ে যেতে চান।মুমিন মুসলমান হাওয়ার জন্য যা যা দরকার তিনি তা তা করবেন জীবনে বেঁচে থাকতে।
তিনি তাঁর জীবনের চেয়ে নবী মুহাম্মদ (সঃ)কে বেশি ভালোবাসেন,সব সময় সময় পেলে দরুদ পড়েন।তাকে আমরা একজন আল্লাহ ওয়ালা মানুষ বলতে পারি।তিনি বলেন চলুন ফিরে যাই ,সমাধীর ঠিকানায়।অর্থাৎ তিনি আমাকে কবরের কথা বলেছেন।সবাই কে একদিন ঐ কবরে ফিরে যেতে হবে।

তিনি কক্সবাজার পিটিআইকে ভালোবেসে ফেলেছেনঃ

১৯৮৯সাল থেকে ২০১৯সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি কক্সবাজারে শিক্ষকতা করেছেন অনেককে জ্ঞান বিতরণ করেছেন। তিনি কক্সবাজার পিটিআই এর বালিকণা,ধুলোমাটি দালানকোটা,সবুজ গাছ ,সবুজঘাসঅসবাব পত্র পরীক্ষণ বিদ্যালয় এর শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক,ডিপিএড,প্রশিক্ষণাথী শিক্ষক বৃন্দপিটিআই এর,কবি জসীম উদ্দীন হোস্টেল,বেগম রোকেয়া হোস্টেল,নতুন হোষ্টেল,সবার সাথে বসবাস করতে গিয়ে মায়ার বাধঁন সৃজন হয় তা কখনো ছিন্ন হবার নয়।তিনি সবাইকে ভালোবেসে ফেলেছেন।তারাও তাকে ভালোবেসে ফেলেছেন।৩ডিসেম্বর ২০১৯ ওনাকে বিদায় দিতে আমাদের মন কাঁদছে,,,,,,,,,,।ওনার জীবন থেকে আমাদেরঅনেক কিছু শেখার আছে।ওনার জীবন আমাদের প্রেরণা যোগায়।ওনার মনও কাঁদছে সবার জন্য।ওনার জীবন সুন্দর হউক।আল্লাহ পাকওনাকে লম্বা হায়াত দান করুকএবং সুস্থ ও সুন্দর রাখুক এই প্রার্থনা করছি।আমিন।।

লেখক পরিচিতিঃ

এম.এরশাদুর রহমান
সহকারি শিক্ষক
হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
হ্নীলা,টেকনাফ,কক্সবাজার।
মুঠোফোনঃ০১৮৪৫-১৪৮৬৪৯

182 ভিউ

Posted ৪:৫৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com