কক্সবাংলা রিপোর্ট(১ ডিসেম্বর) :: “এইচআইভি পরীক্ষা করুন, নিজেকে জানুন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পালিত হলো বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৮।
দিনটি উপলক্ষে শনিবার সকালে কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষের আলোচনা সভাস্থলে গিয়ে মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় নবাগত কক্সবাজার সিভিল সার্জন মো: এম এ মতিন বলেন, এইডস হলো একটি মরণ ব্যধি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। এইচআইভি দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্রমণের পর দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারে। এই ভাইরাস দেহের প্রতিরোধ কোষগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয় এবং এক পর্যায়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায়। অতঃপর নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ৬ থেকে ১৫ বছর পরে এইডস রোগ সনাক্ত করা সম্ভব হয়। জ্বর, উদরাময়, ওজন হ্রাস, শুষ্ককাশি, চর্মরোগ, লসিকাগ্রন্থির বৃদ্ধি, মাংশপেশীর বেদনা, ব্রেন টিউমার, মুখ গহ্বরে ক্ষত, ফাঙ্গি, প্যারাসাইটস, দুর্বলতা, স্মরণশক্তির ক্রম বিলুপ্তি এইডস-এর প্রধান লক্ষণ। তিনি বলেন, কার্যকর প্রতিরোধ কার্যক্রমের মাধ্যমে এইচআইভি মহামারীকে দমন করা যেতে পারে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.পুচুনু,আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শাহীন আব্দুর রহমান চৌধূরী,ডেপুটি ডাইরেক্টর সুলতান আহমদ সিরাজী,সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
রফিক-উস সালেহীন,সদর টিবি হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মহিউদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর,জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজ,ইউনিসেফ’র পিএমসিটির সকল কর্মকর্তা সহ আরো অনেকে।
র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় সকল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা,স্বাস্থ্য সেবিকা, বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণও অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত শনিবার কক্সবাজার সিভিল সার্জেন মো: আব্দুল মতিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা সহ কক্সবাজার জেলায় এইডস রোগীর সংখ্যা ৪১১ জন।মারা গেছেন ৫৮ জন।এর মধ্যে স্থানীয় মারা গেছেন ৪২ জন। বাকী ১৬ জন রোহিঙ্গা।
তার মধ্যে গত বছরের ২৫ আগষ্ট থেকে বাংলাদেশ আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৮৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ জন হল রোহিঙ্গা পুরুষ, ১৪৭ জন হল রোহিঙ্গা নারী। ছেলে শিশু রয়েছে ২২ জন আর মেয়ে শিশু রয়েছে ২১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৬ জন। মৃতদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ৭ জন নারী এবং মেয়ে শিশু হচ্ছে ৩ জন।
Posted ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta