কক্সবাংলা রিপোর্ট(৩ জুলাই) :: কক্সবাজার শহরে পাহাড়ে ঝুকিঁপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শহরতলীতে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে।এসময় সরকারী পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিঁ নিয়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী ১০ পরিকারকে উচ্ছেদ করা হয়।
সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দের নেতৃত্বে সংশ্লিস্ট সকল উপজেলার পাহাড়ে এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পি এম ইমরুল কায়েস,তাহমিলুর রহমান ও পঙ্কজ বড়–য়া-র নেতৃত্বে তিনটি পৃথক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে পৌরসভার সাহিত্যিকাপল্লী, পাহাড়তলী, ঘোনাপাড়া,মোহাজেরপাড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার অর্ধশত ঝুকিপূর্ন অবস্থানরত ঘর ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ন বসবাসকারিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়।
তিনঘন্টাব্যাপী এই পৃথক অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, অনসার ব্যাটিালিয়ন, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, পৌরসভাসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কেটে অবৈধভাবে তৈরি ঘরবাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে বাধা দেওয়ার অপরাধে পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার ও মোহাজেরপাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তা ছাড়া সরকারি জমি দখল করে অবৈধ বসতি গড়ে তোলার দায়ে একই এলাকার আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হবে।
এর আগে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দের নেতৃত্বে গঠিত ওয়ার্ডভিত্তিক টিম গুলো পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্নভাবে বসবাসকারিদের নিরাপদ স্থানে অপসারণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে।
এ উপলক্ষ্যে পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসবাসকারিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে করণীয় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন।
তিনি জানান, ভারী বর্ষনে পাহাড় ধ্বসের কারণে জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা খুব বেশী থাকে। তাই জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দের নেতৃত্বে গঠিত ওয়ার্ডভিত্তিক টিমের সম্মানিত সদস্যরা পৌরসভা ও ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর পাহাড়গুলো পরিদর্শন করছেন। সেই সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দের নেতৃত্বে সংশ্লিস্ট সকল উপজেলার পাহাড়গুলো পরিদর্শন করছেন। ইতিমধ্যে পাহাড়ে অতিঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারিদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকদিন বর্ষণ বন্ধ থাকায় পুনরায় কিছু বসবাসকারি ফিরে আসে পাহাড়ে তাদের পূর্বের বাসস্থানে। তাই আবার ভারী বর্ষণ শুরু হওয়ায় পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসবাসকারিদের সরে যেতে মাইকিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে আনার নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন মহোদয়।
Posted ১:২৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta