মোঃ রেজাউল করিম ঈদগাঁও(৯ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজার সদরের জালালাবাদে দুই ব্যবসায়ী সহোদরকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকাসহ নিয়ে গেছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বর্ণিত ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোহনভিলা তিন রাস্তা মোড় এলাকায়।
আহতরা হল একই এলাকার মোহাম্মদ কালুর ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রকাশ লিটু (২২) ও তার ছোট ভাই নোমান (১৮)।তাদের উদ্ধার করে ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লিটু এবং নোমান উক্ত এলাকায় একটি মুদির দোকান ও অপর একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান করে আসছিল। ইত্যবসরে একই এলাকার চিহ্নিত বেলাল এসে নোমান থেকে ১শ টাকা ধার খুজে।
সে সন্ধ্যাকালীন সময়ে টাকা দিতে অপরাগ প্রকাশ করলে তাকে গালিগালাজ করে চলে যায়।পরে নোমান ও লিটু মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় বেলালের নেতৃত্বে তার ভাই আব্বাস উদ্দীন সহ আরো ৩/৪ জন লোক দা,ছুরি হাতুড়ি নিয়ে এসে উপর্যপুরী হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে।
এসময় দোকানের ক্যাশবক্সে রক্ষিত নগদ ২৫ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট, জুস,বিস্কুট নিয়ে যায়।।
স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।সংঘটিত ঘটনায় এলাকয় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের সাথে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।পরবর্তীতে পাওয়া গেলে গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিটু জানান,টাকা ধার না দেওয়ায় পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে।
এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করলে জানে মেরে পেলাসহ স্কুল পড়ুয়া ছোট বোনকে অপহরণ করবে মর্মে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে।মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না তিনি।এ বিষয়ে অবগতও নয়।
