মো.রেজাউল করিম,ঈদগাঁও(৮ নভেম্বর) :: কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে ওয়ারেন্টি আসামী ধরতে গিয়ে স্বজনদের হাতে মারধর ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন ঈদগাঁও পুলিশ দল। হামলাকারীরা হ্যান্ডকাপসহ আটক আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশের হাতে থাকা পিস্তল লুট করতে চাইলে কোনমতে ঝাপটে তা উদ্ধার করা হয়। এসময় ২ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
৮ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ইউনিয়নের ননা মিয়া পাড়া ও উল্টাখালীর সংযোগস্থলে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত ঘটনায় ছিনিয়ে নেয়া আসামীর বোনসহ ৩ মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
সংঘটিত ঘটনায় জেলা ও ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিট হামলাকারীদের ধরতে ঘটনাস্থলে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
পুলিশ ও নানা সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ২ পুলিশ কর্মকর্তা বুধবার বিকালে একটি জি. আর মামলার পলাতক আসামী ধরতে সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ননা মিয়া পাড়ায় অভিযান চালান। পুলিশ কর্মকর্তারা হচ্ছেন এএসআই আহসান মোর্শেদ ও এএসআই মাঈনুদ্দীন চৌধুরী। আসামীর নাম সুলতান আহমদ।
সে স্থানীয় ছৈয়দ আহমদের পুত্র। তার বাড়ী এবং তার ২য় স্ত্রীর শ^শুর বাড়ী পাশাপাশি। সে শ^শুর বাড়ীতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিল। পুলিশ তাকে ঐ এলাকা থেকে আটক করলে তার শ^শুর বাড়ী ও পরিবারের লোকজন পুলিশকে নানাভাবে অপদস্ত, কামড়াকামড়ি ও মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় এএসআই আহসান মোর্শেদের হাতে থাকা পিস্তলটি লুট করতে চাইলে সঙ্গীয় ফোর্সরা ঝাপটে ধরে কোনমতে তা রক্ষা করেন। ১২/১৩ জন মহিলা ও পুুরুষ পুলিশকে যেভাবে পারে লাঞ্চিত করাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়। নিরুপায় হয়ে পুলিশ দল সেখান থেকে অন্যত্র অবস্থান নেন।
খবর পেয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, এএসপি সদর-রামু সার্কেল রুহুল কুদ্দুস, কক্সবাজার মডেল থানা ওসি রনজিত বড়–য়া, ওসি তদন্ত, ওসি অপারেশন, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মো. খায়রুজ্জামান, ২য় কর্মকর্তা দেবাশীষ সরকারসহ থানা ও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের বিভিন্ন দল ঘটনাস্থলে অভিযান শুরু করে।
এসময় ছিনিয়ে নেয়া আসামী সুলতানের বোনসহ ৩ মহিলাকে আটক করে পুলিশ। তাদেরকে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আহত দু’ পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা এভাবে হামলা ও লাঞ্চনার শিকার হবেন তা কখনো ভাবেন নি।
রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকাও পাশর্^বর্তী জঙ্গলে পুলিশ দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার যাবতীয় প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছেন। ঘটনার ব্যাপারে আহত পুলিশরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ঘটনা অবহিত করেন বলে জানান।
আহতদের চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে পুরো ঘটনার ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু রাখঢাক লক্ষ্য করা গেছে।
আটকদের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ গড়িমসি করেন। তারা বলেন, এ ব্যাপাারে সরকারী প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। পরে সবকিছু প্রকাশ করা হবে।
Posted ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta