মো. রেজাউল করিম,ঈদগাঁও(৩ জানুয়ারী) :: কক্সবাজার সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উদ্যোগে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
৩রা জানুয়ারী সকালে শিল্পনগরী ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন।
এসময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মা, ইসলামপুর চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ইসলামাবাদ চেয়ারম্যান মো. নুর ছিদ্দিক, সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর আলম সওদাগর, উপজেলা বিএনপি সিনি. সহ-সভাপতি মনজুর আলমসহ ইউপি সদস্য-সদস্যা, সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৮ মার্চ ব্যাপী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ১৯৯৯ সালের ১লা জানুয়ারীর আগে যাদের জন্ম অথবা ২০১৬ সালের আগে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন তাদেরকেই মূলত এ কার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্টরা উক্ত কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে নির্ধারিত সময়সূচী মতে যারা কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন না পরবর্তীতে তারা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে উক্ত কার্ড নিতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র মতে, ৩ থেকে ৬ই জানুয়ারী ইসলামপুর ইউনিয়নে, ৮ থেকে ১৩ই জানুয়ারী ইসলামাবাদ ইউনিয়নে, ১৫ থেকে ২১শে জানুয়ারী ঈদগাঁও ইউনিয়নে, ২২ থেকে ২৪শে জানুয়ারী জালালাবাদ ইউনিয়নে,২৭ থেকে ৩০শে জানুয়ারী পোকখালী ইউনিয়নে, ১ থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারী ভারুয়াখালী ইউনিয়নে, ৭ থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারী চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে, ১৪ থেকে ২২শে ফেব্রুয়ারী খুরুশকুল ইউনিয়নে,২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ১লা মার্চ পিএমখালী ইউনিয়নে এবং ৩ থেকে ৮ই মার্চ ঝিলংজা ইউনিয়নে নির্ধারিত কেন্দ্রে এ কার্ড বিতরণ করা হবে।
নির্বাচন অফিস সূত্র মতে, স্মার্ট কার্ড নেয়ার সময় নাগরিকদের পুরনো কার্ড জমা দেয়ার পাশাপাশি ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি দিতে হবে। এক্ষেত্রে কারো কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথমে পুরনো কার্ডটি তুলে তা জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে হবে।
এটি নেয়ার সময় ভোটারদের নতুন করে কোন ছবি তুলতে হবে না বা কোন তথ্য দিতে হবে না। নির্বাচন কমিশনে প্রত্যেক ভোটারের যে ছবি ও তথ্যাদি সংরক্ষিত রয়েছে তারই ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে স্মার্ট কার্ড।
মোট কথা ভোটারদের হাতে বর্তমানে যে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তার ছবি ও অন্যান্য তথ্যাদি যুক্ত থাকবে নতুন এ কার্ডে। কোন ভোটার স্মার্ট কার্ড তৈরি হওয়ার আগেই ছবি পরিবর্তন বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন করে থাকলে তিনি সে মতে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্ত হবেন।
জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে সর্বমোট ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪১ জন ভোটার স্মার্ট কার্ড পাওয়ার উপযুক্ত। নাগরিক ভোগান্তি ও হয়রানি রোধ করতেই স্মার্ট কার্ড তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় ইসি। এটি যন্ত্রে পাঠযোগ্য। সহজেই নকল করা যাবে না। টেকসই ও সুন্দর অবয়বে এ কার্ড বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য।
এর মাধ্যমে ২৫ ধরণের নাগরিক সেবা ছাড়াও এটি ভবিষ্যতে ই-পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন সেবার কাজে ব্যবহার করা যাবে। পরপর দু’বার কার্ড হারালে ভোটারদের ২ থেকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
