বিশেষ প্রতিবেদক(২৭ অক্টোবর) :: কক্সবাজার সদর উপজেলার ৫নং জালালাবাদ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার শালিসকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের বাসা ভাঙচুরের চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সংঘটিত ঘটনায় চেয়ারম্যানের ভাইপোসহ আহত হয়েছে কয়েকজন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগে ইউনিয়নের দক্ষিণ লরাবাক এলাকার ওলা মিয়ার পুত্র দরিদ্র রিক্সা চালক রশিদ আহমদের সাথে একই এলাকার বদি আলমের স্কুল পড়–য়া পুত্র শিফাতের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি শিফাতের নিকটাত্মীয় একই এলাকার সাবেক মেম্বার ইলিয়াছ মিন্টুর পুত্র রেজাউল করিমকে জানালে সে রশিদ আহমদকে ধরে চেয়ারম্যানের বাসায় নিয়ে যায়।
এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হলে রেজাউল করিম লাটিসোটা নিয়ে রশিদ আহমদকে উপর্যুপরী হামলা ও মারধর করে।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় তার একটি হাত ভেঙ্গে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে রশিদ আহমদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদকে বিচার দিলে ২৬ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে তার বাসায় শালিসে বসে।
এসময় চেয়ারম্যান রেজাউল করিমকে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ ক্ষতিগ্রস্থ ও হামলার শিকার রশিদ আহমদকে দেওয়ার জন্য জরিমানা করেন। এতে রেজাউল করিম এত টাকা না দেওয়ার আপত্তি তুললে চেয়ারম্যান আহত রশিদ আহমদকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে অবশিষ্ট টাকাগুলো দেওয়ার জন্য তাগিদ দেন। তারপরও সে শালিস বৈঠকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায় এবং চেয়ারম্যানের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় চেয়ারম্যান তাকে চড়-থাপ্পড় দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। চড় থাপ্পড়ের বিষয়টি তার স্বজনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করতে এগিয়ে যায়। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পিছু হটে দুর্বৃত্তরা।
তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. খায়রুজ্জামান, এএসআই মহি উদ্দীনের নেতৃত্বে ২টি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তার ভাই সাংবাদিক এস.এম তারেক জানান, রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের সশস্ত্র দুর্বৃত্ত নারীসহ তাদের বাড়ীতে হামলা করতে এগিয়ে যায়। এলাকাবাসী জড়ো হলে তারা পিছু হটে। ঘটনার পরপরই তার ভাইপো কলেজ ছাত্র আফিফাত হাসান বাজারে যাওয়ার সময় মোটর বাইক থেকে নামিয়ে উপর্যুপরী মারধর ও গাড়ী ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে জানার জন্য রেজাউল করিম গংয়ের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে তার অনুসারীরা জানান, চেয়ারম্যানের বাসায় হামলার চেষ্টা হয়নি বরং মারধরের বিষয়টি জানার জন্য বাড়ী যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
পুলিশ তদন্ত ইনচার্জ মো. খায়রুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয় এবং জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সংঘটিত এ ঘটনায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
Posted ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta