শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(৩১ অক্টোবর) :: নির্বাচন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সীল জাল করে ভোটার হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ৩০ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদরের পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরে আটক দুইজনের প্রত্যেককে বিনাশ্রম ১৫ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রামুর ধেচুয়াপালং এলাকার আব্দুল আখের এর ছেলে মোঃ আয়াছ (২৬) এবং টেকনাফের হ্নীলা কাঞ্জরপাড়ার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে আবুল হাশিম (৭০)।
কক্সবাজার সদর নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মা জানান, তারা উল্লেখিত ঠিকানার বাসিন্দা নয়। এরা দুই জনই মিয়ানমারের নাগরিক। তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে তারা ভোটার হতে অপচেষ্টা চালায়।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সুপারভাইজার ও পূর্ব গোমাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুর রহমানের বিরুদ্ধেও টাকার বিনিময়ে ভোটার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন জানান, ভোটার নিবন্ধনকালে স্বাক্ষর ও সীল নিয়ে সন্দেহ হলে ফরম দুইটি জব্দ করা হয়। পরে যাচাই বাছাই করে জালিয়াতির প্রমাণ হওয়ায় আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট আইন-২০০৯ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ধারা ৩৫৩ বিধি মতে দন্ড প্রদান করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে টাকার বিনিময়ে ভোটার করানো সুপার ভাইজার শামসুর রহমান ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনা থেকে রেহাই পেতে শিক্ষক শামসুর রহমান বিভিন্ন ক্ষমতাসীন দলের ব্যক্তিদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ও রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক কাজে সহযোগিতা করায় আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
Posted ১১:৩৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta