সাইফুল ইসলাম(১৪ আগস্ট) :: কক্সবাজার সদর উপজেলা ভারুয়াখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের দূর্নীতি ও আত্মসাতের কারণে রাস্তার এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী সচেতন মহলের। এ জন্য ক্রমশই বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সংস্কারেও নেই কোনো অগ্রগতি। দুর্গতিই এখন গতি। এমনকি কোন কোন স্থানে একেবারেই গাড়ি চলচলা বন্ধ হয়ে গেছে।
খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলো পরিণত হয়েছে বড়ই বেহাল। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে পথ।
তবে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ইতিমধ্যেই এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর একাধিক দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। শুধু আশ্বাসেই তা থেমে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার বেহাল দশার মধ্যে রয়েছে দরবেশ আলীর দোকান থেকে বড় চৌধুরী পর্যন্ত, ননামিয়া পাড়া, করিম সিকদার পাড়া, ছোট চৌধুরী, ঘোনা পাড়া ও পশ্চিম পাড়ারসহ অধিকাংশ এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা। এদিকে কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। দেখলে মনে হবে মিনি পুকুর।
অধিকাংশ এলাকার রাস্তার ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচলে রাস্তা অনুপযুক্ত হয়ে পড়লেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এমনি কি এসব রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা মানুষ চলাচলা করতে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
বড় চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা এডভোকেট শওকত বেলাল বলেন- ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বেশির ভাগ রাস্তার অবস্থা খারাপ। এমনকি কোন কোন স্থানে চলাচল একেবারেই বিছিন্নও হয়ে পড়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে যেভাবে রাস্তা উন্নয়নের কাজ হয়েছে তার অর্ধেক কাজই ভারুয়াখালী ইউনিয়নে হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তা বরাদ্দের জন্য যেসব টেন্ডার হয়। তা জনপ্রতিনিধিদের দূর্নীতি ও আত্মসাতের কারণেই রাস্তার উন্নয়ন হচ্ছেনা। পাশাপাশি রাস্তা যেদিকে ভালো রয়েছে সেদিকে নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে আসছে ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে ভারুয়াখালীর ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.ফজলুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আসলে ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেসব রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা মানুষও চলাচল করতে পারছেনা। কোন কোন জায়গায় রাস্তার মধ্যেখানে গর্তে পরিনত হয়। বর্তমানে কয়েকটি এলাকার মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
