বিশেষ প্রতিবেদক(২৩ নভেম্বর) :: ‘সোহাগর ডইল্লা মানুষ (আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ) যদি ভোটত থিয়াই তইলে আরাল্লাই বেশি ভালা।’ বলছিলেন, কক্সবাজারের রামুর উপজেলার হিমছড়ি উপক’লের জেলে নুরুল আমিন। সোজা বাংলায় নুরুল আমিনের কথার মানে, ‘আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগের মতো মানুষ যদি নির্বাচন করেন সেটা আমাদের জন্য বেশি ভালো।’
নুুরুল আমিন শুনেছেন, কক্সবাজারের গৌরব তরুণ-পরিশ্রমী উদ্যোক্তা আনিসুুল হক চৌধুরী সোহাগ এগিয়ে আছেন কক্সবাজার-৩ ( রামু-কক্সবাজার সদর) আসনের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায়। ডিজিটাল প্রযুক্তি কী, জানেন না জেলে নুরুল আমিন।
তবে জানেন, হিমছড়ি এবং আশপাশের এলাকার জেলেদের জীবন বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ।
সফল এই উদ্যোক্তা কক্সবাজারের মৎস্য শিল্পকে নিয়ে যেতে চান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। কক্সবাজারের প্রতিটি জেলে পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য সোহাগের আছে বিশেষ পরিকল্পনা।
এই অঞ্চলে বেড়ে ওাা জেলে নুরুল আমিন বিশ্বাস করেন, আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগের মতো পরিশ্রমী ও উদ্যমী মানুষের পক্ষেই সম্ভব সত্যিকার অর্থে বড় চমক দেখানোর। তাই তিনি আশায় আছেন, আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগকে তার এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখার।
শুধু জেলে নুরুল আমিন নয়, কক্সবাজার-৩ আসনের বহু মানুষই মনে করছেন বড় চমক দেখানোর ক্ষমতা আছে আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগের। কারণ, ১৫ বছর ধরে কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার গড়া মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড কক্সবাজারের নাম উজ্জ্বল করছে বিশ^জুড়ে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই একনিষ্ঠ কর্মীর পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম- কক্সবাজারে আগামী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধু জাদুঘর স্থাপন। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কক্সবাজারকে মাদক ও মানবপাচারের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। আর ২০২১ সাল নাগাদ পাঁচ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের মহাপরিকল্পনা তো আছেই।
এলাকার শিক্ষার প্রসার ঘটাতে তিনি চান প্রত্যন্ত ও বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন বিদ্যালয় নির্মাণ করতে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমনে কক্সবাজারের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা বনায়ন ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করতেও উদ্যোগ নিতে সচেষ্ট আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ।
Posted ৫:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta