কামাল শিশির,ঈদগড়(৩০ জুন) :: রামুর কচ্ছপিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে হতদরিদ্র ও বিধবা নারীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত জাহেদা বেগম (৪০) রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বড় জামছড়ি এলাকার মৃত বদিউর রহমানের স্ত্রী।
এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, আমির আলী ও আমির আলীর পুত্র সাহাব উদ্দিন।
আহত জাহেদা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি মায়ের ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমিতে ক্ষেত -খামার, গরু-ছাগল লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। সম্প্রতি বাড়ির পাশের ব্যক্তি আমির আলী ও তার ছেলেরা তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন।
বৃহষ্পতিবার (২৮ জুন) সকালে আমির আলী নিজেদের গরু তার বসত ভিটায় লেলিয়ে দিয়ে তার ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এনিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানালে, আমির আলী ও তার ছেলে আলীম উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে তার উপর হামলা চালায়।
হামলাকারিরা তাকে মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয় এবং তার বসত ঘর, ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে এবং তার কাছে থাকা অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নেয়। হামলার পর স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত জাহেদা বেগমকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারিরা এ নিয়ে মামলা না করার জন্য এবং বসত বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য তাকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। এ কারণে জাহেদা বেগম চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন জাহেদা বেগম তার স্বজনদের সহায়তায় শনিবার রামু থানায় আমির আলী, আলীম উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিনকে বিবাদী করে মামলা করেছেন।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলায় হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ২জনকে আটক করেছে। জড়িত অন্যান্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, জাহেদা বেগম হতদরিদ্র ও বিধবা। তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ মহিলার চিকিৎসার উদ্যোগ নেন।
হামলার শিকার জাহেদা বেগমের যথাযত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশে দিয়েছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান।
মামলার বাদি জাহেদা বেগম জানান, তিনি ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে পড়ে ছিলেন। পুলিশের এমন সহযোগিতা পাবেন তা তিনি ভাবতেও পারেননি।
পুলিশের ভুমিকায় সন্তোষ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন তিনি মোটেও আতংকিত নন। তিনি ওসি মিজানুর রহমানসহ পুলিশ প্রশাসনের সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।