কক্সবাংলা ডটকম(১২ এপ্রিল) :: করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ছবির শ্যুটিংয়ে কীভাবে চুম্বনের দৃশ্য কিংবা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিং হবে? করোনা আতঙ্কের মাঝেই নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে এমন প্রশ্নই তুলেছেন ‘পিকু’ খ্যাত পরিচালক সুজিত সরকার।
করোনা আতঙ্ক এখন গোটা বিশ্বে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া সুস্থ, স্বাভাবিক থাকার আর কোনও উপায়ই দেখছে না গোটা বিশ্ব। তবে এই ঝড় একদিন ঠিকই থেমে যাবে। পরিস্থিতিও হয়ত অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। তবে করোনার ভয় কি এক্কেবারে মুছে যাবে? এপ্রশ্নের উত্তর এখনও হয়ত কারোর জানা নেই। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টা ঠিক কতটা গুরুত্ব দেবে মানুষ।
তাহলে কি ছবিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাছাকাছি ঘনিষ্ঠ হয়ে অভিনয় করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন? এপ্রশ্নের উত্তর হয়তবা এখনও কারোর জানা নেই। এসব প্রশ্ন হয়ত খ্যতনামা পরিচালক সুজিত সরকারের মনেও ঘোরাফেরা করছে। আর সেকারণেই হয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নটা তুলেই ফেললেন পরিচালক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজিত সরকার লিখেছেন? ”করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সিনেমার জন্য কীভাবে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিং হবে? বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কিংবা চুম্বনের দৃশ্য। তবে কি তখন সামাজিক দূরত্বের বিষয়টার গুরুত্ব থাকবে না? নাকি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের জন্য পরিচালকদের অন্য পদ্ধতি নিতে হবে?”
সুজিত সরকারের এই পোস্টের নিচে কমেন্ট করেছেন দিয়া মির্জা। তিনি লিখেছেন, ”সিনেমা বানানোর পুরো প্রক্রিয়াটাই তো অন্তরঙ্গ হয়েই করতে হয়। একসঙ্গে অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে একটা ছবি বানায়। আর আপনি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কথা বলছেন! কীভাবে সবকিছু বদলে যাবে? আমরা কী মাস্ক আর গ্লাভস পরে কাজ করবো? শুধু সময়ই সব কিছুর উত্তর দেবে। ”
তবে অবশ্য শুধু দিয়া মির্জাই নন, সুজিত সরকারের এই পোস্টের নিচে অনেকেই নানান কমেন্ট করেছেন।
কেউ লিখেছেন, ”৬০-৭০ এর দশকে ফিরে যান, যেখানে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য হিসাবে শুধুই দুটো ফুলের দোলা দেখানো হত।” কেউ আবার কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে লিখেছেন, ”একসঙ্গে ৫০জনের বেশি মানুষ এক হয়ে শ্যুটিং করবেন কী করে? ” কারোর আবার মত, ”শ্যুটিংয়ের আগে সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত।” কারোর কথা, ”ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিং হবে ভার্চুয়ালি।’
Posted ২:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta